বিদেশ থেকে স্বর্ণ আনা বন্ধে সরকারি নির্দেশনা চায় বাজুস

​​​​​​​নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:১৪ | প্রকাশিত : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:০৯

বিদেশ থেকে স্বর্ণ আনা বন্ধে সরকারি নির্দেশনা চেয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। পর্যটকদের সোনার বার আনা বন্ধ করা, ট্যাক্স ফ্রি সোনার অলংকার ১০০ গ্রামের পরিবর্তে ৫০ গ্রাম করার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। এছাড়া ব্যাগেজ রুলের আওতায় বিদেশ থেকে স্বর্ণের অলংকার আনার সুবিধাও সীমিত করার দাবি জানিয়েছে বাজুস।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট প্রণয়নের আগে সরকারকে বাজুস এসব প্রস্তাবনা জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান বরাবর দেওয়া এক প্রস্তাবনায় ১৫টি দাবি জানায় বাজুস। সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর স্বাক্ষরিত প্রস্তাবনায় এসব দাবি তুলে ধরা হয়।

বৃহস্পতিবার বিকালে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) অনুষ্ঠিত প্রাক বাজেট আলোচনায় দাবিগুলো তুলে ধরে সংগঠনটি এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে বাজুস অন্যান্য সংগঠনের একাধিক কর্মকর্তা সময় উপস্থিত ছিলেন

বাজুসের প্রস্তাবনায় বলা হয়, সারাদেশে ৪০ হাজার জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে ইএফডি বসানো হলে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায় করতে পারবে ব্যবসায় সমতা আসবেসোনার ওপর শতাংশ হারে ভ্যাট নির্ধারণ, জুয়েলারি সংশ্লিষ্ট কর অব্যাহতি প্রদান, অপরিশোধিত আংশিক পরিশোধিত স্বর্ণের ওপর কাস্টমস ডিউটি কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে বাজুস

বাজুসের প্রস্তাবনায় বলা হয়, স্বর্ণ নীতিমালা সংশোধনের মাধ্যমে পর্যটকদের সোনার বার আনা বন্ধ করা, ট্যাক্স ফ্রি সোনার অলংকার ১০০ গ্রামের পরিবর্তে ৫০ গ্রাম করার প্রস্তাব করছি পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গে ব্যাগেজ রুল সমন্বয় একজন যাত্রীকে একবার ব্যাগেজ রুলের সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব দেন

বাজুসের প্রস্তাবের জবাবে ৪০ হাজার প্রতিষ্ঠান রিটার্ন দাখিল করে কি না তা কর্মকর্তাদের খোঁজ নিতে বলেন এনবিআর চেয়ারম্যান পাশাপাশি জুয়েলারি খাতকে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি

সরকারকে দেওয়া প্রস্তাবনায় বাজুস প্রেসিডেন্ট বলেন, বর্তমানে স্থানীয় বাজারে সোনার বার্ষিক চাহিদা ২০-৪০ মেট্রিক টন। বৈধভাবে এই চাহিদা পূরণ এবং জুয়েলারি ব্যবসাকে শিল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে বড় বাধা কাঁচামালের উচ্চমূল্য, অতিরিক্ত উৎপাদন ব্যয়, শিল্প সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতির উচ্চ আমদানি শুল্ক ও উচ্চ বিনিয়োগ।

এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত প্রায় সব ধরনের পণ্য ও যন্ত্রপাতির শুল্ক ৩০-৪০ শতাংশ। যা স্থানীয় অন্যান্য শিল্পে আরোপিত শুল্কের চেয়ে অনেক বেশি। যার কারণে বড় বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। পাশাপাশি এই শিল্পের উৎপাদন ব্যয় বেশি হওয়ার কারণে ভোক্তা পর্যায়ে আন্তর্জাতিক বাজারের চেয়ে দামের পার্থক্য প্রায় ১০ হাজার টাকা হয়ে যায়। আবার এর সাথে যোগ হয় ৫ শতাংশ মূসক। ফলে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে ভোক্তা সাধারণের উপর।

বাজুসের প্রস্তাবনায় বলা হয়, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে এই সর্বপ্রথম সোনা পরিশোধনাগার স্থাপন হয়েছে। বিশ্ববাজারে আর কিছুদিন পর রপ্তানি হবে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ সম্বলিত সোনার বার। যা এ দেশে জুয়েলারি শিল্প সম্প্রসারণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। কিন্তু এই পরিশোধনাগার স্থাপনে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতির আমদানি শুল্ক অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি হওয়ার কারণে প্রাথমিক পর্যায়ে উৎপাদন ব্যয় অনেক বেড়ে যাচ্ছে। ফলে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে জুয়েলারি শিল্পের উপর।

(ঢাকাটাইমস/২২ফেব্রুয়ারি/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

অর্থনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অর্থনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :