তদারকি সংস্থা এবং ভবন নির্মাতাদের দায়িত্বশীল হতে হবে: অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান
রাজধানীর ভবনগুলোর সব ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তদারকি সংস্থা এবং ভবন নির্মাতাদের দায়িত্বশীল হতে হবে বলে মনে করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান।
ঢাকা টাইমসের সঙ্গে একান্ত আলাপে এই অধ্যাপক বলেন, নগর খুব জটিল বিষয়। নগর যত ঘন হতে থাকে তত ঝুঁকি বাড়তে থাকে। ঝুঁকিগুলোর মধ্যে অগ্নিঝুঁকি তখনই বাড়ে যখন অতিঘন পরিবেশ তৈরি হয়। এই অতিঘন পরিবেশই প্রথমত মূল সমস্যা। দ্বিতীয়ত এই অতিঘন পরিবেশে আবাসিক কিংবা বাণিজ্যিক যেমন ভবনই হোক সেটা নিরাপত্তার মানদণ্ড না মেনে তৈরি করা হলে সেই ভবন ঝুঁকির সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকে।
আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, আমরা ধীরে ধীরে উন্নত হচ্ছি। এই উন্নত হওয়ার প্রক্রিয়ায় বাণিজ্যিক বা আবাসিক যে ভবনই তৈরি করছি সেখানে যে অর্থনৈতিক ব্যয় হয় তা ফেরত পেতে চাই। সেখানে অগ্নিনিরাপত্তার জন্যও বিনিয়োগ করতে হয়। সেই বিনিয়োগ হয়তো পুরো ভবনের নির্মাণ খরচের তুলনায় খুব কম থাকে। কিন্তু সেটুকুও মালিকরা করতে চান না।
এই বিশেষজ্ঞ বলেন, অগ্নিনিরাপত্তা নিশ্চিতের সঙ্গে ভবনটির নকশাও সংশ্লিষ্ট। যেমন একটি আবাসিক ভবন হঠাৎ করে একটি কারখানা করে ফেললে তা ভবনের নকশা অনুযায়ী বিপরীত অবস্থানে চলে যায়। তখন অগ্নিনিরাপত্তার আওতায় আনতে গেলেও তা সবক্ষেত্রে পুরোপুরি নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না। এই ধরনের রূপান্তর হচ্ছে অনেক। ফলে সবমিলিয়ে নগরের পুরো পরিস্থিতি অরাজকতার মধ্যে রয়েছে। এজন্য ভবন নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে দায়িত্বশীল হতে হবে।
আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, সরকারের তদারকি সংস্থাগুলোর অর্থাৎ রাজউক, সিটি করপোরেশন, ফায়ার সার্ভিস, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখা এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে ঘাটতি রয়েছে। ফলে আমাদের এই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তাই তদারকি সংস্থাগুলোর দায়িত্বশীল হতে হবে।
(ঢাকাটাইমস/০৪মার্চ/টিএ/কেএম)
মন্তব্য করুন