প্রেমিককে বেঁধে প্রেমিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ আ.লীগ নেতাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে 

নিজস্ব প্রতিবেদক, সুনামগঞ্জ
| আপডেট : ১০ মার্চ ২০২৪, ১৩:৩৯ | প্রকাশিত : ১০ মার্চ ২০২৪, ১২:৩৯
অভিযুক্ত ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সেক্রেটারি আফসার উদ্দিন।

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে প্রেমিককে গাছের সঙ্গে বেঁধে প্রেমিকাকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সেক্রেটারিসহ ৩ বখাটের বিরুদ্ধে।

শনিবার ভোরে উপজেলার মান্নারগাঁও ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে ।

ধর্ষণকারীরা হলেন- উপজেলার মান্নারগাঁও ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি ও জালালপুর গ্রামের মৃত লিয়াকত আলীর ছেলে আফসার উদ্দিন (৩৫), মৃত ময়না মিয়ার ছেলে ফজলুল বারি (৪৫), হায়াত আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩০) ও পার্শ্ববর্তী কামারগাঁও গ্রামের ইদ্রিছ আলীর ছেলে আব্দুল করিম (৩৫)।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার পলাশ ইউনিয়নের সড়কপাড় গ্রামের মো. সুরুজ আলীর ছেলে নুরুজ্জামান (২৩) প্রায় এক বছর ধরে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ধর্মবাজার মালঞ্চপুর গ্রামে রাজমিস্ত্রির কাজ করে আসছিলেন। সেই সুবাদে ধর্মবাজার মালঞ্চপুর গ্রামের সামছু মিয়ার মেয়ে মুক্তা বেগমের (২৭) সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে গত শুক্রবার বিয়ের উদ্দেশ্যে তারা জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার জালালপুর গ্রামে প্রেমিকের বন্ধুর বাড়িতে ওঠেন। প্রেমিক যুগল মান্নারগাঁও ইউনিয়নের আজমপুর খেলাঘাটে রাত ১২টায় এসে পৌঁছান। এ সময় সিএনজিচালক মো. আব্দুল করিমের সিএনজিতে করে জালালপুর গ্রামে আসেন। ওই চালকের সিএনজিতে গ্যাস নেই অজুহাতে চালক ফোন করেন আরও তিন বন্ধুকে। পরে চারজন মিলে প্রেমিক যুগলকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জালালপুরের অপর ধর্ষণকারী ফজলুল বারি প্রেমিক নুরুজ্জামানকে বাইরে গাছের সঙ্গে বেঁধে মুক্তাকে ঘরে নিয়ে চার বখাটে মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

পরের দিন রবিবার ভোর ৪টায় ওই সিএনজিতে করে ধর্ষণকারীরা প্রেমিক যুগলকে স্থানীয় আমাবাড়ি বাজারের পাশে হাজারীগাঁও রাস্তায় ফেলে চলে যায়। এ সময় ধর্ষণকারীরা প্রেমিক যুগলের দুটি মোবাইল ফোন ও নগদ আট হাজার টাকা ও এক ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন নিয়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে প্রেমিকের বন্ধু ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে এলাকাবাসীকে বিষয়টি জানান। পরে খবর পেয়ে শনিবার রাত ৮টার দিকে প্রেমিক যুগলকে দোয়ারাবাজার থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

খবর পেয়ে এলাকার উৎসুক জনতার ভিড় জমে আফাজ উদ্দিনের বাড়িতে। এদিকে চার ধর্ষণকারী ঘটনার পরপরই এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যান।

এ ব্যাপারে মান্নারগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অসিত কুমার দাস জানান, এই জালালপুর গ্রামে মাদক ব্যবসা ও জুয়া খেলাসহ এমন কোনো অপকর্ম নেই যা হয় না। তিনি ধর্ষণকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

মান্নারগাঁও ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাব্বির আহমদ দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ধর্ষণকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

এ ব্যাপারে ছাতক ও দোয়ারাবাজারের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশের এ এস পি (সার্কেল) রনজয় চন্দ্র মল্লিক জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রেমিক যুগলকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। রবিবার মুক্তা বেগমকে হাসপাতালে পাঠানো হবে। এ বিষয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/১০মার্চ/এআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :