বিমান হামলায় হামাসের ২ সামরিক নেতাকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, এই মাসের শুরুতে গাজা উপত্যকায় একটি বিমান হামলায় হামাসের উপ-সামরিক কমান্ডার মারওয়ান ইসাকে হত্যা করেছে। খবর আনাদোলুর।
মঙ্গলবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি একটি রেকর্ড করা বক্তৃতায় বলেছেন, ‘সমস্ত গোয়েন্দা তথ্য পরীক্ষা করার পর, আমরা প্রায় দুই সপ্তাহ আগে চালানো একটি বিমান হামলায় মারওয়ান ইসাকে নির্মূল করার বিষয়টি নিশ্চিত করতে পেরেছি।
হাগারি আরও দাবি করেছেন, হামলায় মারওয়ান ইসার পাশাপাশি, হামাসের আরেক সিনিয়র নেতা গাজী আবু তামাও হামলায় নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র উল্লেখ করেছেন, ইসা হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসাম ব্রিগেডের সামগ্রিক কমান্ডার মোহাম্মদ দেইফের ডেপুটি এবং গত বছর ইসরায়েলে ৭ অক্টোবরের হামলার পরিকল্পনাকারীদের একজন।
ইসা এবং আবু তামাকে ইসরায়েলি অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিষেবা শিনবেট এবং সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একটি জটিল এবং সুনির্দিষ্ট অপারেশনে নির্মূল করা হয়েছিল বলে জানান হাগারি।
এদিকে ইসাকে হত্যার ইসরায়েলের দাবির বিষয়ে হামাসের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ১০ মার্চ মধ্য গাজার নুসিরাত শরণার্থী শিবিরে একটি বিমান হামলায় ইসাকে হত্যা হয়, যা মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিশ্চিত করে ইসরায়েলি বাহিনী।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর গাজা আক্রমণের পর থেকে হামাসের অনেক সিনিয়র নেতাকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
গত জানুয়ারি মাসে লেবাননের রাজধানী বৈরুতে হামলা চালিয়ে হামাসের একজন উপ-রাজনৈতিক নেতা সালেহ আল-আরোরিকে হত্যা করে ইসরায়েল। এ ড্রোন হামলায় হামাসের দুই সামরিক কমান্ডার এবং চার সদস্যসহ আরও ছয়জন নিহত হয়েছেন।
(ঢাকাটাইমস/২৭মার্চ/এমআর)

মন্তব্য করুন