বিএসটিআইয়ের অভিযানে চাঁদাবাজির অভিযোগ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির
বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) এর অভিযানে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলেছেন রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হোসেন।
রবিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার টিসিবি ভবনে আয়োজিত ‘আবাসিক ভবনে রেস্তোরাঁ ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অভিযান পরিচালনাকারী দপ্তর/সংস্থা কর্তৃক পৃথকভাবে অভিযান পরিচালনা না করে সম্মিলিতভাবে অভিযান পরিচালনা’ করার লক্ষ্যে এক মতবিনিময় সভায় এ অভিযোগ করেন তিনি।
রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হোসেন বলেন, মোবাইল কোর্টটা যেভাবে পরিচালনা করা হয় এটা সম্পূর্ণ অপমানজনক। আসলে এটা আমাদের মালিক সমিতির জন্য অপমানজনক না, এটা সম্পূর্ণ দেশের জন্য অপমানজনক। তৃণমূল হোটেল রেস্তোরাঁর জন্য যে জরিমানার আইন, ফাইভ স্টার হোটেলের জন্য একই আইন?
তিনি বলেন, বিএসটিআই বলল তারা অভিযান চালায় না। আসলে আমি বলব বিএসটিআইয়ের অভিযানে এক প্রকার চাঁদাবাজি হয়। তারা অভিযানে বলে সব খাবারে বিএসটিআই থাকতে হবে। দইয়েরও বিএসটিআই লাগে, বোরহানিতেও বিএসটিআই লাগে।
‘আমি মনে করি অভিযানে অবশ্যই ফুড এক্সপার্ট রাখা প্রয়োজন। বর্তমানে যেটা হয়, এসে নাক দিয়ে খাবার শুঁকে বলে এটা নষ্ট, দুই লাখ টাকা জরিমানা করো। কোনো কথা বলা যায় না। কথা বললেই জরিমানার রেট বেড়ে যায়। জরিমানা করার সঙ্গে সঙ্গে জরিমানার টাকা দিতে হবে। দেরি হলেই হ্যান্ডকাপ দিয়ে গাড়িতে তোলে। জেল হাজতে নিয়ে যায়। অথচ আইনে আছে জরিমানার পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে জরিমানার টাকা পরিশোধ করা। তাহলে কীভাবে ব্যবসা পরিচালনা করব? এই দেশে আমরা নাগরিক হিসেবে আমরা চরম অপমানিত।’
সভায় বিএসটিআইয়ের উপ-পরিচালক রিয়াজুল হক বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠান মূলত ভেজাল পণ্যের বিরুদ্ধে কাজ করে। কাউকে হ্যারেসমেন্ট (হয়রানি) করা আমাদের উদ্দেশ্য না। কোনো ব্যবসায়ী যাতে অহেতুক হ্যারেসমেন্টের শিকার না হয় সেই বিষয়টা আমরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখব। তবে কেউ যদি খাদ্যপণ্যে ভেজাল দেয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব।
সভায় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান, বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হোসেন, ভোক্তা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা, নিরাপদ খাদ্য কতৃপক্ষের কর্মকর্তারা ও সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধিদল উপস্থিত ছিলেন।
(ঢাকাটাইমস/৩১মার্চ/এমআই/ইএস)