আওয়ামী লীগ গায়ের জোরেই ক্ষমতায় টিকে আছে: দুদু

আওয়ামী লীগ সরকার স্বাভাবিক সরকার নয়, একেবারেই গায়ের জোরেই ক্ষমতায় টিকে আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস- চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
শনিবার দুপুরে জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুন নবী খান সোহেলসহ কারাবন্দি নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বিএনপির আন্দোলন ব্যর্থ হয় নাই।আন্দোলন চলমান। এই সরকারের আমলে মানুষ সবচেয়ে বেশি ভয়-ভীতি নির্মমতার যে শিকার হয়েছে। এই সরকার স্বাভাবিক সরকার নয় এই সরকার একেবারে গায়ের জোরে ক্ষমতায় টিকে আছে সেজন্য এই সরকারকে আমাদের আন্দোলনে পরাস্ত করতে হবে। কারণ বাংলাদেশে ভোট নাই এই সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় ভোট ফিরে আসবে এটা প্রত্যাশা করাও ঠিক ঠিক হবে না। আমাদের একমাত্র পথ যেভাবে স্বৈরাচার এরশাদকে আমরা হটিয়েছিলাম যেভাবে আমরা আইয়ুব খানকে হটিয়ে ছিলাম পাকিস্তান আমলে ঠিক তেমনি একটি ছাত্র এবং গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা একটি সুদিনে যেতে পারবো।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতার ক্রীতদাস হিসেবে এখন পরিণত হয়েছে।এদের মাথায় ক্ষমতা ছাড়া মানবিক মূল্যবোধ ন্যায় নীতি বা অন্যকিছু কাজ করছে না। ক্ষমতায় থাকাটাকে তারা গৌরবের মনে করছে যেনতেনও প্রকারে তাদের ক্ষমতায় থাকতেই হবে এই যে প্রবনতা এই প্রবণতার নামই হচ্ছে ফ্যাসিবাদ। এই প্রবণতার নামই হচ্ছে গণবিরোধী সিদ্ধান্ত যেকোনোভাবে যেকোনো উপায়ে তাদের ক্ষমতায় থাকতে হবে।
দুদু বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল মূলত গণতন্ত্র স্বাধীনতা এবং মানুষের অধিকারের জন্য লক্ষ লক্ষ মানুষ যার কারনে শহীদ হয়েছে এই ব্যাপারে কারো কোন দ্বিমত নাই কিন্তু এই ব্যাপারেও এখন আর কারো দ্বিমত নেই দেশে এখন গণতন্ত্র নাই মানুষের ভোটের অধিকার নাই, মানুষ তার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে না আমাদের অনেক বড় বড় পূর্বপুরুষ নেতারা আছে তারা জেল খেটেছেন তারা নির্যাতন ভোগ করেছেন তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন গণতন্ত্রের জন্য স্বাধীনতার জন্য মুক্তি সংগ্রামের জন্য কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে এখন কোন গণতন্ত্রও নাই স্বাধীনতাও নাই মানুষের ভোটাধিকারও নাই।
বিএনপির এই নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এটা কি ভাবা যায় যে দেশের সাংবাদিকরা সংবাদ সংগ্রহের জন্য সেই দেশের প্রধান ব্যাংকের ভেতরে যেতে পারবে না এটা ভাবা যায় না। সারা বিশ্বের মানুষ বলছে এই সিদ্ধান্তের কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের যে দুর্নীতি এটা কমবে না বরং বাড়বে কারণ সাংবাদিকরা সেখানে গেলে একটা ভীতি থাকতো কিছু হলে দেশবাসী বিশ্ববাসী এমনকি সরকারও জানতে পারতো।
সংগঠনের সভাপতি গিয়াসউদ্দিন খোকনের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বিএনপি'র চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, নির্বাহী কমিটির সদস্য আ ক ম মোজাম্মেল, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
(ঢাকাটাইমস/১১মে/জেবি/কেএম)

মন্তব্য করুন