সালথায় সহিংসতার মামলায় উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ৪৪ জন গ্রেপ্তার

সালথা-নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ১৫ এপ্রিল ২০২৪, ২১:২৭ | প্রকাশিত : ১৫ এপ্রিল ২০২৪, ২১:২৫

ফরিদপুরের সালথায় সহিংসতার ঘটনায় দায়ের করা দ্রুত বিচার আইনের মামলায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. ওয়াদুদ মাতব্বরসহ ৪৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার দিবাগত রাতে ফরিদপুর শহর ও সালথার কয়েকটি ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার বিকালে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে গট্টি ইউনিয়নের কাঠালবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা মো. সৈয়দ আলী শেখ (৫০) বাদী হয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ওয়াদুদসহ ৫৯ জনের নাম উল্লেখ করে সালথা থানায় দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে।

মামলার বাদী মো. সৈয়দ আলী বলেন, ঈদের পরের দিনে ক্যারাম খেলাকে কেন্দ্র করে লক্ষনদিয়া গ্রামের কয়েক যুবকের সাথে কথা কাটাকাটি হয় জুগিডাঙ্গা ও কাঠালবাড়িয়া গ্রামের যুবকদের। এরপর ওই রাতেই এক দফা হামলা করে জুগিডাঙ্গা গ্রামের ৩ জনকে আহত করা হয়। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর রেশ ধরে রবিবার বিকালে দ্বিতীয় দফায় আবারো হামলা করা হয়। হামরাকারীরা ঢাল-সড়কিসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জুগীডাঙ্গা ও কাঁঠালবাড়িয়া গ্রামে হামলা করে। এ সময় পাঁচটি বাড়ি ভাঙচুর করা হয় এবং আরো তিনটি ঘরে অগ্নিসংযোগ করে জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া চারটি গরু ও পেঁয়াজসহ বিভিন্ন বাড়ি থেকে মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

এরপর রবিবার রাতে পুলিশের অভিযানে মোট ৪৪ জন গ্রেপ্তার হন। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. ওয়াদুদ মাতব্বর ছাড়াও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. সাহিদুজ্জামান সাহিদ ও গট্টি ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমানের ভাই মো. আবুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ ফায়েজুর রহমান বলেন, গত ১৪ এপ্রিল হামলা ভাঙচুর অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা হওয়ার পর বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ওয়াদুদসহ ৪৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে দ্রুত বিচার আইনের মামলায় সোমবার বিকালে ওয়াদুদসহ ৩০ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। পরে তাদের রিমান্ডের আবেদন জানানো হবে। অন্য ১৪ জনের বিরুদ্ধে পূর্বের বিভিন্ন অভিযোগে মামলা থাকায় তাদের সে সব মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১২ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত সালথার মাঝারদিয়া ও গট্টি ইউনিয়নে অন্তত তিনটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গত ১৩ এপ্রিল শনিবার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের মাঝারদিয়া গ্রামে এলাকার প্রভাব বিস্তারকে নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমানের সঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের আরেক সহসভাপতি ও একই ইউপির সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. সাহিদুজ্জামান ওরফে সাহিদের বিরোধের জেরে সংঘর্ষ হয়। এতে এক বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ ৩০ জন আহত হন। পুলিশ সর্টগানের ১৭টি গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি।

(ঢাকা টাইমস/১৫এপ্রিল/এসএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :