লুটপাট লুকিয়ে রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা: রিজভী
আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠজনদের দুর্নীতি, লুটপাট লুকিয়ে রাখার জন্যেই বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের অবাধ প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢোকা নিষেধ। কেন? ব্যাংকে কত টাকা লুট হয়েছে, এই লুটকারীরা হচ্ছে আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রী না হলে আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠজন। এই লুটপাট ও দুর্নীতির তথ্য যাতে সাংবাদিকরা না পায় এই কারণে ব্যাংকে সাংবাদিকদেরকে ঢোকা নিষেধ করেছে। কারণ যারা অপরাধী তারা পাপকে লুকিয়ে রাখতে চায়। তাদের দুর্নীতি-লুটপাট লুকিয়ে রাখার জন্যেই বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদেরকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন।
রবিবার নয়াপল্টন বিএনপির কার্যালয়ের সামনে সাবেক ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতৃবৃন্দের আয়োজনে বেগম খালেদা জিয়া, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল ও আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েলসহ কারাবন্দি নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, জাতীয়তাবাদী শক্তির লোকজন, যারা সত্যের পথে কথা বলে তারা আজ কারাগারে। যারা ব্যাংক ডাকাতি করছে, লুটপাট করছে, নদী-নালা খাল-বিল দখল করছে, অন্যায়-অবিচার-দুর্নীতি করছে তারা আজ দুর্দান্ত প্রতাপে সারাদেশ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। তারা সবাই ক্ষমতাসীন দলের লোকজন এটা প্রমাণিত।
এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে এরা দেশের জনগণের ঘরবাড়িও বিক্রি করে দেবে মন্তব্য করে ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, এই লুটপাটের সরকার, দুর্নীতির সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশের জনগণের ঘরবাড়িও বিক্রি করে দেবে। এরকম দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার ক্ষমতায় থাকবে এটা কি আমাদেরকে দেখতে হবে। প্রতিদিন প্রতিনিয়ত যে যেখানে আছেন সেখান থেকেই কণ্ঠকে আরও জোরালো করতে হবে। যাতে এই সরকারের হৃদকম্পন হয় সে আওয়াজ তুলতে হবে।
তিনি বলেন, এই খরতাপ রোদে আগুনের মতো পরিবেশে আপনারা আপনাদের কণ্ঠকে উচ্চারিত করেছেন এরকম যেকোনো প্রতিকূল পরিবেশে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা থেকে বিদায় করার আগ পর্যন্ত সংগ্রাম করে যেতে হবে।
রিজভী বলেন, গতকাল আমি একটু বক্তব্য দিয়েছিলাম যে আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বন্ধক রেখেছে পার্শ্ববর্তী একটা দেশে। তো বাংলাদেশ নিয়ে পাকিস্তান একটি প্রশংসামূলক কথা বলেছে এজন্য ওবায়দুল কাদের খুবই আনন্দিত। ওবায়দুল কাদের বলেছেন পাকিস্তানও আমাদের প্রশংসা করে। আর তারা বলে পাকিস্তানের সাথে বিএনপির পিরিত। বিএনপি যা বলে সত্য বলে স্পষ্ট বলে। আর ওরা (আওয়ামী লীগ) বলে তলে তলে।
‘ওরা পিরিত করে তলে তলে। এটা ওবায়দুল কাদেরের ভাষা, আমাদের ভাষা না। ওরা তলে তলে পিরিত করে কারণ ওরা অবৈধ। ওদের কোনো নীতি নাই ওদের নীতি আছে লুটপাট-দুর্নীতি বিদেশে টাকা পাঠানো।’
বিএনপির মুখপাত্র বলেন, আওয়ামী লীগ এ দেশে চিরদিনের জন্য বাকশাল কায়েম করার জন্য দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রেখেছে। আমরা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে ছাড়ব।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, যুবদলের সহ-সভাপতি জাকির হোসেন সিদ্দিকী, ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-সভাপতি রফিক হাওলাদার, আবুল কালাম আজাদ, যুগ্ম সম্পাদক সওগাত উল ইসলাম সগির, আশরাফ উদ্দিন রুবেল, ইলিম মো. নাজমুল হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক আজিজুর রহমান মুসাব্বির প্রমুখ।
ঢাকাটাইমস/২৮এপ্রিল/জেবি/ইএস