আমরা কি শ্রমিকদের সঠিক মর্যাদা দিতে পারছি?

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ০১ মে ২০২৪, ১৪:১১

১৮৮৬ সালের ১ মে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটের শ্রমিকরা ৮ ঘণ্টা কাজের দাবিতে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য শ্রমিকদের আত্মত্যাগের এই দিনকে তখন থেকেই সারা বিশ্বে ‘মে দিবস’ হিসেবে পালন করা হচ্ছে।

অধিকার আদায়ের বিশেষ এই দিনটি নিয়ে নিজের কথা জানিয়েছেন সংগীতশিল্পী ফাহমিদা নবী।

তিনি বলেন, ‘যখনই কোনো আন্দোলন হয়, তার মানে হলো দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া একজন জনতা আন্দোলনে নামে তাদের অধিকার আদায়ে। মে দিবসেও পাশ্চাত্যের দিন মজুররা তাদের ওপর বছরের পর বছর ঘটে যাওয়া অণ্যায়ের প্রতিবাদ এবং অধিকার আদায়ের লড়ায়ে নেমেছিলেন। সেই থেকে এই দিনটি বিশ্ব শ্রমিক দিবস হিসেবে পালিত হয়। কিন্তু আজও কি আমরা শ্রমিকদের সঠিক মর্যাদা বা অধিকার দিতে পারছি?’

‘আমি আমার দেশীয় কনটেক্সট থেকে একটা বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাই। সেটি বলার পর হয়তো অনেকে আমাকে আমার বিরুদ্ধেও দু-চারটি কথা বলতে পারেন। কিন্তু তাই বলে বিষয়টা উত্থাপন না করলে তো হবে না!’

‘আমরা অবশ্যই নানা পেশার মানুষের অধিকারের কথা বলি। তাদের ন্যায্য পাওনা, কর্মঘণ্টা, সুযোগ সুবিধার কথা বলি। কিন্তু যারা হাউজওয়াইফ বা গৃহিণী আছেন, তাদেরকে কি আজও আমরা আলাদা কোনো পেশা হিসেবে মূল্যায়ন করি?’

‘গৃহিণী’ও যে একটি পেশা সেটাই যেখানে ভাবতে পারি না, সেখানে তার অধিকারের প্রশ্ন তো অনেক দূরের কথা! আপনি সব হাউজওয়াইফকে জিজ্ঞেস করুন, তাদের অধিকাংশই একই কথাই বলবে। তাদেরও একটু অবসর চাই, তাদেরও একটু মি টাইম চাই। তারা বছরের পর বছর ঘুম থেকে উঠে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত শুধু কাজই করে। তাদের কোনো কর্মঘণ্টা নেই, কোনো বেতন ভাতা নেই, বোনাস নেই, বেশিরভাগ সময় অ্যাপ্রিসিয়েশনও নেই।’

‘এমনকি যে পরিবারে স্বামী হয়ত বেকার, সেখানেও ওই স্ত্রীকেই সব কাজ করতে হয়। স্বামী তার নিজের কাজগুলোও করে না। এখনই সময় দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নিয়ে গৃহিণীদেরও একটু অবসরের সুযোগ করে দেওয়া।’

(ঢাকাটাইমস/১মে/এলএম/এজে)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :