বাকিতে বিড়ি না দেওয়ায় ছুরিকাঘাতে যুবককে হত্যা

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় বাকিতে বিড়ি না দেওয়ায় ছুরিকাঘাতে এমরান মিয়া (৩০) নামে এক যুবককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী লিটন মিয়ার বিরুদ্ধে।
শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের হুসনারঘাট গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত এমরান মিয়া উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের হুসনারঘাট গ্রামের সাজিদ মিয়ার ছেলে।
ঘটনার পর ঘাতক লিটন মিয়া পালিয়ে যাওয়ার সময় পাতারগাও ইসলামপুর বাজার থেকে স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে।
আটক লিটন মিয়া উপজেলার হুসনারঘাট গ্রামের নিহত এমরানের বাড়ির পাশের বাসিন্দা বিল্লাল মিয়ার ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দীন।
স্থানীয়রা জানায়, এমরান বাড়িতে মুদি দোকানে তেল-সাবানসহ বিভিন্ন মালামাল বিক্রি করেন। সকালে লিটন মিয়া এমরানের বাড়িতে গিয়ে বাকিতে বিড়ি চাই। কিন্তু এমরানের মা মাজেদা বেগম লিটনকে বলেন তর কাছে আগের বাকির টাকা পাই, তরে বাকিতে বিড়ি দেয়া জাইব না। এই কথা শোনার পর লিটন ঝগড়া শুরু করেন। এসময় বাড়ির ভেতর থেকে এমরান বের হয়ে লিটনকে বলেন তুই কেন আমার মার সঙ্গে ঝগড়া করতাছস। এ কথা বলার পরই লিটন বাড়ি থেকে দা-ছুরি এনে দা দিয়ে এমরানের মাথায় আঘাত ও ছুরি দিয়ে বুকে আঘাত করেন। এতে এমরান সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এসময় এমরানের মায়ের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে লিটন পালিয়ে যান। পরে এমরানকে গুরুতর আহত অবস্থায় তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ চাঁন মিয়া জানান, লিটন খুবই খারাপ প্রকৃতির লোক। সে এর আগেও এলাকায় অনেককেই আঘাত করেছেন। নিহত এমরানের বাবা চোখে দেখে না। তার ছোট ছোট তিনটি মেয়ে রয়েছে। তার স্ত্রী সন্তানসম্ভবা। এই ঘটনায় নিহতের পরিবারে শোকের মাতম চলছে।
নিহত এমরানের বাবা জানান, আমার ছেলেকে যে হত্যা করেছে, তার ফাঁসি দাবি করছি। যাতে করে আমার মত আর কোনো বাবাকে এভাবে সন্তান হারা হতে না হয়।
তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দীন জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘাতককে আটক করা হয়েছে। হত্যার ব্যবহৃত দা-ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
(ঢাকা টাইমস/২১জুন/এসএ)

মন্তব্য করুন