টাঙ্গাইলে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের চেষ্টা, ভাঙনের শঙ্কায় স্থানীয়রা

​​​​​​​নিজস্ব প্রতিবেদক, টাঙ্গাইল
  প্রকাশিত : ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭:৫৪
অ- অ+

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কাকুয়াতে যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের চেষ্টা করছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। একই সঙ্গে কাকুয়া ইউনিয়নের কাকুয়া, গয়লা হোসেন, দেওগোলা, আরগোলা, গোপালতিথিল ও রাজনগর এলাকাকে বালুমহাল করার চেষ্টাও করা হচ্ছে। এতে ভাঙনের শঙ্কায় পড়েছেন স্থানীয়রা।

প্রতিকার চেয়ে বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদন করা হয়েছে।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কাকুয়া ইউনিয়নের কাকুয়া, গয়লা হোসেন, দেওগোলা, আরগোলা, গোপালতিথিল ও রাজনগর এলাকায় স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় বালু খেকোরা যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার চেষ্টা করছে। তারা উন্নয়নমূলক কাজের অজুহাত দেখিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার পাঁয়তারা করছে। বালু উত্তোলন করা হলে বর্ষা মৌসুমে যমুনা নদীতে ভাঙন শুরু হবে। এতে আবাদি জমি ও বাড়ি-ঘর নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়া ভাঙনের হুমকিতে পড়বে মসজিদ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

জানা গেছে, যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কাতুলি ইউনিয়নের চরপৌলি গ্রামের অরক্ষিত ১৬২৫ মিটার এলাকা, কাকুয়াতে কয়েকটি গ্রাম, ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের চিতুলিয়াপাড়া, ভালকুটিয়া, কষ্টাপাড়া ও নিকরাইল ইউনিয়নের মাটিকাটা, পাটিতাপাড়া এবং কোনাবাড়ীসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে ভাঙন দেখা দিয়েছে।

কাকুয়া এলাকার সেরাজুল ইসলাম জানান, গেল কয়েক বছর ধরে এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। এবারও কাকুয়াসহ কয়েকটি এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। এরপরও বালু খেকোরা বালু উত্তোলনের পাঁয়তারা করছে। যমুনা নদীতে বালু উত্তোলন করা হলে বহু ঘর-বাড়ি নদীতে বিলীন হবে। তাই প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, আওয়ামী লীগ নেতা জুয়েলসহ চেয়ারম্যানের লোকজন গত বছর কাকুয়াসহ কয়েকটি এলাকায় বালু উত্তোলন শুরু করেছিল। খবর পেয়ে প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেয়। এ বছর একইভাবে তারাই বালু উত্তোলন শুরু করতে পাঁয়তারা করছে। তবে ভয়ে এলাকার কেউ প্রতিবাদ করছে না।

সদর উপজেলার কাকুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বদিউজ্জামান ফারুক বলেন, গত বছর বালু মহাল বা বালুর ব্যবসা করতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। সবাই সব ব্যবসা করতে পারে না। সিরাজগঞ্জের লোকজন এই ব্যবসা করছে। বর্তমানে তিনি বালু ব্যবসায় জড়িত নেই বলে জানিয়েছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাসান বিন আলী জানান, যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে কেউ বালু উত্তোলন করতে পারবে না। এটি বন্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/০১জুলাই/পিএস)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
প্রাইমএশিয়ার শিক্ষার্থী পারভেজ হত্যা: আলোচিত তরুণী টিনা ৩ দিনের রিমান্ডে
কুমিল্লার সাবেক এমপি ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুনের এপিএস আব্দুল কাদের ঢাকায় গ্রেপ্তার 
ভারতের ৭৭টি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি পাকিস্তানের
আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগ মোড়ে ছাত্র-জনতার অবস্থান, যান চলাচল বন্ধ
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা