পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারা ২২ শিক্ষার্থীর মানববন্ধন, শিক্ষকের বহিষ্কার দাবি

ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ০২ জুলাই ২০২৪, ২১:৩২
অ- অ+

অতিরিক্ত অর্থ নিয়ে ফরম পূরণে জালিয়াতি, দুর্নীতি, অনিয়ম ও প্রতারণাসহ অবহেলার অভিযোগে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে নিকরাইল শমশের ফকির ডিগ্রি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক লোকমান হোসেনসহ জড়িত অন্যান্য শিক্ষকদের দ্রুত বহিষ্কার এবং চলমান এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ চেয়ে এক দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী ২২ শিক্ষার্থী ও তাদের স্বজনসহ স্থানীয় লোকজন।

মঙ্গলবার সকালে বাংলা দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষার দিনেও নিকরাইল শমশের ফকির ডিগ্রি কলেজের ২২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিতে না পেরে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।

মানববন্ধনটি নিকরাইল পলশিয়া রানী দিনমনী উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে শুরু হয়। পরে কলেজে গিয়ে ইট-পাটকেল ছোঁড়াছুড়ি ও কলেজে হামলা চালায় শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ তাদের সরিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে।

ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থীরা বলেন, মুহুর্তেই চোখের পানিতে নিজের ও পরিবারের স্বপ্নগুলো ভেসে যাচ্ছে। কলেজের দুর্নীতিবাজ শিক্ষক বাংলা বিভাগের প্রভাষক লোকমান হোসেন আমাদের ২২ শিক্ষার্থীর থেকে অতিরিক্ত অর্থ নিয়েও ফরম পূরণ করে দেওয়ার নামে প্রতারণা করেছেন এবং কলেজ কর্তৃপক্ষের গাফিলতির জন্য আমরা পরীক্ষা থেকে বঞ্চিত। আমরা পরীক্ষা দিতে চাই, পরীক্ষার সুযোগ করে দিতে হবে এবং প্রতারক লোকমানের বহিষ্কার দাবি জানাচ্ছি।

এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মামুনুর রশীদ জানান, ২২ জন শিক্ষার্থী চলমান এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারায় মঙ্গলবার সকালে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। অবৈধভাবে ফরম পূরণের কারণে তাদের ফরম পূরণের আবেদনটি বাতিল করে শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ। তাছাড়া জড়িতে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে কলেজ পরিচালনা কমিটি। পরে সেটি তদন্ত করে উর্ধ্বতন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হবে।

গত ২৯ জুন কলেজে প্রবেশপত্র আনতে গিয়ে পায়নি ওই ২২ শিক্ষার্থী। পরে কলেজ থেকে তাদের ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

রবিবার ৩০ জুন সকালে পরীক্ষা শুরুর আগে নিকরাইল পলশিয়া রানী দীনমনি উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে গেটে তালা ও বিক্ষোভ করে পরীক্ষা কেন্দ্রে ভাঙচুর চালায়। এসময় কর্তব্যরত পুলিশের সঙ্গে পরীক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।

সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েনের পাশাপাশি প্রশাসন কর্তৃক সমস্যা সমাধানের আশ্বাসের পর শিক্ষার্থীরা আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করে কেন্দ্র ত্যাগ করে। তবে বিনা কারণে পুলিশ শিক্ষার্থীদের মারপিট করেছে বলে অভিযোগ তাদের।

এ বছর নিকরাইল শমশের ফকির ডিগ্রি কলেজ থেকে ১৭১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে। কিন্তু অতিরিক্ত অর্থও দিয়ে ওই কলেজের ২২ শিক্ষার্থী অংশ নিতে পারেনি।

(ঢাকাটাইমস/০২জুলাই/প্রতিনিধি/এসআইএস)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
নরসিংদীতে ৮ মামলার আসামিকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা
কলরেকর্ড ফাঁসের জেরে থাই প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন বরখাস্ত
চীন থেকে তড়িঘড়ি যে কারণে দেশে ফেরেন শেখ হাসিনা, কিন্তু…
নির্বাচনী বাজেটে কোনো কার্পণ্য করা হবে না: অর্থ উপদেষ্টা
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা