বেনাপোলে ১৬.৭৫ টন সালফিউরিক অ্যাসিড জব্দ

বেনাপোল বন্দর দিয়ে মিথ্যা ঘোষণায় আমদানি করা ১৫.৭৫ টন সালফিউরিক অ্যাসিড জব্দ করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার চালানটি জব্দ করা হয়।
যার বিল অব এন্ট্রি নম্বর সি-৫৫৯০৪। পণ্যটির ইনভয়েজ মূল্য ৯৬০৭.৫ মার্কিন ডলার। যা বাংলা টাকায় হবে ১১ লাখ ৩৩ হাজার টাকা । কাস্টমস ডিউটি সহ পণ্যচালানটির মূল্য প্রায় ২১ লাখ টাকা বলে কাস্টমস জানাই।
জানা যায়, চট্টগ্রামের রিফ লেদার লিমিটেড নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান পণ্যচালানটি ভারত থেকে আমদানি করে। ভারতের কেরেলাস্থ ক্যাটালাইস কেমিক্যাল ইন্ডাট্রিজ থেকে আনা পণ্যচালানটি বন্দর থেকে খালাস করানোর দায়িত্বে ছিল মোশারফ টেডার্স নামে এক সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট।
কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, রিফ লেদার লিমিটেড গত ২ জুলাই ফরমিক অ্যাসিড নাম ঘোষণা দিয়ে ১৫ টন ৭৫০ কেজি সালফিউরিক অ্যাসিড আমদানি করে। জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) তথ্যের ভিত্তিতে চালানটি কায়িক পরীক্ষাকালে নমুনা সংগ্রহ করে ক্যামিকেল পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়। ল্যাব টেস্টে ফরমিক অ্যাসিডের পরিবর্তে সালফিউরিক অ্যাসিড পাওয়া যায়। কিন্তু সালফিউরিক অ্যাসিড আমদানি করতে হলে এলসি খোলার আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিস্ফোরক অধিদপ্তরের অনুমতি প্রয়োজন হয়। তাদের অনুমতি ছাড়া সালফিউরিক অ্যাসিড আমদানি করা নিষিদ্ধ।
এই পণ্য খালাস পেলে মোটা অঙ্কের শুল্ক ফাঁকির ঘটনা ঘটত। ফরমিক অ্যাসিডের মোট শুল্কহার ৩৭ শতাংশ এবং সালফিউরিক অ্যাসিডের শুল্কহার ৭৮ শতাংশ। ঘোষণা বহিভর্’ত পণ্য আমদানি ও শুল্ক ফাঁকির প্রবণতা থাকায় পণ্যচালানটি সাময়িক আটক করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মোশারফ টেডার্সের স্বত্বাধিকারী মোশারফ হোসেন বলেন, ‘আমার আমদানিকারক ফরমিক অ্যাসিড আমদানি করেছেন। পণ্যচালানটি বেনাপোলে বন্দরে প্রবেশ করার পরে কাস্টমস সেটা ল্যাবে পরীক্ষা করে ফরমিক অ্যাসিডের পরিবর্তে সালফিউরিক অ্যাসিড পেয়েছেন। এখানে আমার কোনো ভুল নেই। ভুল করেছেন আমদানিকারক। এর সব দায়ভার আমদানিকারকের। আমদানিকারক কী আমদানি করছেন সেটা তিনিই ভালো জানেন। আমরা মাল ছাড় করার কাজ করে থাকি।’
বেনাপোল কাস্টমস হাউজের কমিশনার আব্দুল হাকিম জানান, চট্টগ্রামের রিফ লেদার লিমিটেড নামে এক আমদানিকারক ফর্মিক এসিড ঘোষণা দিয়ে পণ্য আমদানি করেন। পণ্যটি বেনাপোল বন্দরে এলে ল্যাব পরীক্ষা রিপোর্টে সালফিউরিক এসিড পাওয়া গেছে। সালফিউরিক অ্যাসিড আমদানিতে এলসি খোলার আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বিস্ফোরক অধিদপ্তরের অনুমতি প্রয়োজন। সেটা নেওয়া হয়নি, যা একটা বড় ধরনের অপরাধ।
(ঢাকাটাইমস/১৭জুলাই/মোআ)

মন্তব্য করুন