জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গুলিবিদ্ধ ৩ শিক্ষার্থী ও ২ সাংবাদিক, আহত ৩০

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল ছুড়ছে পুলিশ। এতে অন্তত ৩ শিক্ষার্থী ও ২ সাংবাদিক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে।
বুধবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়কে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ তাদের ওপর টিয়ারশেল ছোড়া শুরু করে।
শিক্ষার্থী, সাংবাদিক ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, গুলি ও টিয়ারগ্যাসে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৩ শিক্ষার্থী ও ২ সাংবাদিক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
এদিন দুপুর থেকেই শহীদ মিনারের এক পাশে শিক্ষার্থী ও অপর পাশে পুলিশ অবস্থান নেয়। তখন থেকেই উভয় পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় আলোচনা ও উত্তেজনা চলছিল। বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে পুলিশ বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।
এতে এক সাংবাদিক, ক্যামেরাপারসন ও অন্তত ৩ শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হন।
আহত এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘পুলিশ বিভিন্ন দিক থেকে আমাদের ওপর গুলি ছুড়ছে। অনেকেই জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছে। সব দিক দিয়ে পুলিশ, আমাদের বের হওয়ার জায়গা নেই।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বর ও পদার্থ বিভাগের সামনে অবস্থান করছিলেন। সেখান থেকে পুলিশ শিক্ষার্থীদের সরাতে প্রথমে ধাওয়া করে। পরে টিয়ারগ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়তে থাকে।
আন্দোলনকারী কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে আমরা জড়ো হয়ে মিছিলে স্লোগান দিচ্ছিলাম। পরে দুপুর ১২টা থেকে আমাদের মুখোমুখি দাঁড়ায় পুলিশ। আমাদের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের উসকানি ছাড়াই তারা ৫টার পর থেকে আমাদের ওপর হামলা শুরু করে।
এর আগে, সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলমের সভাপতিত্বে সিন্ডিকেটের এক জরুরি সভায় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
হল ছাড়ার নির্দেশনা দেওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে উপাচার্যসহ আরও কয়েকজন শিক্ষককে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
(ঢাকাটাইমস/১৭জুলাই/এসআইএস)

মন্তব্য করুন