মাদারীপুরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ-পুলিশের সংঘর্ষে আহত ৩০, লেকে লাফ দিয়ে নিখোঁজ ২

মাদারীপুরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ-ছাত্রলীগের সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় পৌরশহরের শকুনী লেকে লাফ দিয়ে পড়ে দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ হয়েছেন। ৮ জন শিক্ষার্থীকে আটক করেছে সদর থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টাব্যাপী থেমে থেমে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ অন্তত ২০ রাউণ্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা সকাল ১০টার দিকে ইউনাইটেড ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জড়ো হয়। এসময় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে পৌর শহরের ডিসি ব্রিজ এলাকা দিয়ে পুরাতন কোর্টের দিকে এগোতে থাকে। পরে সদর থানা পুলিশের সঙ্গে ছাত্রলীগ মিলিত হয়ে কোটাবিরোধীদের ধাওয়া দেয়। এতে তারাও ধাওয়া দিয়ে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ৩০ জন আন্দোলনকারী আহত হন। পুলিশের ধাওয়া খেয়ে চার শিক্ষার্থী শকুনী লেকে লাফ দিয়ে পড়ে যান। দুই জন সাঁতরে উপরে উঠলেও দুইজন নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের খুঁজতে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এদিকে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার সময় পুলিশ অন্তত ২০ রাউণ্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে। আর বিচ্ছিন্নভাবে ৮ জনকে আটক করেছে। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে মাদারীপুর-শরীয়তপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের একজন আব্দুর রহিম বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কোটাবিরোধী শ্লোগান দিয়ে যাচ্ছিলাম। এসময় ছাত্রলীগ পুলিশের সহযোগিতায় অতর্কিতে হামলা চালায়। এতে আমাদের অন্তত ৩০ জন কোটাবিরোধী আন্দোলনকারী আহত হয়েছে। এদের মধ্যে চার জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে।”
এই ঘটনার বিচার দাবি করেন তিনি।
তবে মাদারীপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদ হোসেন অনিক বলেন, “কোটাবিরোধীরা ছাত্রলীগের মিছিলে হামলা করে। আমরাও তাদের জবাব দেই। এতে কিছু নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের আনতে সক্ষম হয়েছি। ছাত্রলীগ সব সময় মাঠে আছে, আগামীতেও মাঠে থাকবে।”
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান ফকির বলেন, “আমরা দেড় ঘণ্টা ধরে চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছি। বিভিন্ন ইউনিটে এখন পর্যন্ত ২০ রাউণ্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করা হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট করে এখনো বলা যাচ্ছে না। কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”
(ঢাকাটাইমস/১৮জুলাই/এফএ)

মন্তব্য করুন