চুয়াডাঙ্গায় হত্যা মামলায় একজনের আমৃত্যু কারাদণ্ড

চুয়াডাঙ্গায় মাদ্রাসাছাত্র রুবেল হোসেন হত্যা মামলার একমাত্র আসামি সোহাগ আহম্মেদকে যাবজ্জীবন (আমৃত্যু) সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসাথে ওই আসামিকে আরও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডাদেশ দেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক মো. মাসুদ আলী।
দণ্ডপ্রাপ্ত সোহাগ আহম্মেদ (২১) চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামের মাঝেরপাড়ার সেকেন্দার আলীর ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ছয়ঘরিয়া গ্রামের ইয়ামিন আলীর ছেলে সদর উপজেলার যুগিরহুদা আবুল হোসেন দাখিল মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণির ছাত্র রুবেল হোসেন (১৪)। পড়া লেখার পাশাপাশি রুবেল হোসেন তার বাবার ব্যাটারিচালিত পাখিভ্যান চালাতো। ২০২৩ সালের ২৭ জুন বিকাল ৪টার দিকে কিশোর রুবেলকে সদর উপজেলার দশমাইল বাজারে ভাড়ায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বের হয় আসামি সোহাগ আহম্মেদ। এসময় বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে রুবেল হোসেনকে কৌশলে কুতুবপুর ইউনিয়নের মর্তুজাপুর গ্রামের মাঠের ভেতর নিয়ে যায় সোহাগ আহম্মেদ। পরে রুবেলের মাথায় লাঠি দিয়ে একাধিক আঘাত করে হত্যা করে সোহাগ। হত্যার পর মাঠের একটি খেজুর বাগানের ভেতর তার মরদেহ গামছা ও ঘাস দিয়ে ঢেকে রাখে। পরে ভ্যানটি নিয়ে ঝিনাইদহের ডাকবাংলা বাজারে বিক্রি করতে যায় সোহাগ। সেখানে ক্রেতাদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে একপর্যায়ে ধরা খেতে হবে বুঝতে পেরে ভ্যানটি ফেলে রেখে কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে থানা পুলিশ সোহাগকে আটক করে।
গত ২০২৩ সালের ২৮ জুন রুবেলের বাবা বাদী হয়ে সোহাগতে একমাত্র আসামি করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মামলা রুজু করে। একই বছরের ৩১ আগস্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক হারুন অর রশিদ একমাত্র আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। আদালতে বিচারিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ২১ জনের মধ্যে ১৪ সাক্ষীর সাক্ষ্য পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়। পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই মামলার আসামিকে যাবজ্জীবন (আমৃত্যু) সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন আদালত।
এ মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি অ্যাডভোকেট শরীফ উদ্দীন হাসু জানান, অপরাধের ধরনে আসামির ফাঁসি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার বয়স বিবেচনায় বিজ্ঞ বিচারক মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন (আমৃত্যু) সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মনিবুল হাসান পলাশ।(ঢাকা টাইমস/২৫জুলাই/এসএ)

মন্তব্য করুন