দেশের বাইরে থেকেও যেভাবে মামলার আসামি সাকিব, জানালেন ডিএমপি কমিশনার

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় পোশাক শ্রমিক রুবেল হত্যার ঘটনার মামলায় আসামি করা হয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের তারকা ক্রিকেটার ও সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানকে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ১৫৬ জনের নাম উল্লেখ করে ডিএমপির আদাবর থানায় ৫০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
মামলার ২৮ নম্বর আসামি হিসেবে সাকিব আল হাসানের নাম রয়েছে। তবে মামলায় রুবেল হত্যার যে সময়টা উল্লেখ করা হয়েছে সেসময় দেশের বাইরে ছিলেন জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক।
মামলায় সাকিবের নাম আসার পর থেকেই প্রশ্ন উঠেছে দেশের বাইরে থাকার পরও কীভাবে মামলার আসামি করা হলো সাকিবকে। এ বিষয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. মাইনুল হাসান।
শনিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত ‘কমিশনারস মিট দ্য প্রেসে’ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেকোনো মামলায় বিভিন্ন ধরনের অপরাধী জড়িত থাকে। অনেকেরই এসব অপরাধে নাম আসে, তারা হয়ত এই অপরাধ সংঘটনে বিভিন্নভাবে সহায়তা করেছে। তারা অনেকে অর্থ দিয়েছেন, অনেকেই পরামর্শ দিয়েছেন, অনেকেই মিডিয়াতে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন।’
‘আমরা আইন অনুযায়ী, প্রমাণ সংগ্রহ করব। যেকোনো মামলার তদন্তে প্রমাণ সংগ্রহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যেগুলোর উপর ভিত্তি করে আসামি গ্রেপ্তার করা হয়’ বলেন ডিএমপি কমিশনার।
কিছু অপেশাদার পুলিশ কর্মকর্তার কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব পুলিশ কর্মকর্তার নির্দেশ পালন করতে গিয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
সে সমস্ত পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি এমন প্রশ্নের ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ইতোমধ্যে কিছু পুলিশ সদস্যের নামে মামলা রুজু হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা একটি চলমান প্রক্রিয়া। তুলনামূলক সময় লাগতে পারে। বিভাগীয় ব্যবস্থার বিষয়টি চলমান রয়েছে।’
যেসব অপেশাদার পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার হয়নি, তারা এখন পলাতক কি না জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার মাইনুল হাসান বলেন, ‘তাদের বিষয়ে এখনো আমাদের কাছে তথ্য-উপাত্ত নেই।’
প্রসঙ্গ, এই হত্যা মামলায় আলোচিত সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন, চিত্রনায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদকেও আসামি করা হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/২৪আগস্ট/এলএম/এসআইএস)

মন্তব্য করুন