অভিভাবকশূন্য হয়ে পড়েছে জবি, স্থবির প্রশাসনিক কার্যক্রম

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য, প্রক্টর ও সর্বশেষ ছাত্র-উপদেষ্টার পদত্যাগে স্থবির হয়ে পড়েছে ক্যাম্পাসের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম। এতে কার্যত প্রশাসনশূন্য হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। স্থবির হয়ে আছে প্রশাসনিক কার্যক্রম।
সোমবার (৫ আগস্ট) ছাত্র জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়ে গত ১১ আগস্ট উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম ও রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলামসহ পুরো প্রক্টরিয়াল বডি পদত্যাগ করেন। এছাড়াও পদত্যাগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র হল ‘বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. দীপিকা রানী সরকার এবং জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক তানভীর আহসান।
সরেজমিন দেখা যায় উপাচার্য না থাকায় সিন্ডিকেট সভা ব্যতীত বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশিরভাগ কার্যক্রম শুরু করা যাচ্ছে না। অন্যদিকে প্রক্টর পদত্যাগের পরে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। প্রভোস্ট না থাকায় ছাত্রীহলে তৈরি হয়েছে নানা সংকট। প্রশাসনিক কাজকর্ম চলছে একেবারে ঢিলেঢালা গতিতে।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, ‘এমনিতেই প্রত্যয় স্কিম ও কোটা সংস্কার আন্দোলনের ফলে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল সকল প্রকার ক্লাস-পরীক্ষা। এতে সেশনজট ধীরে ধীরে প্রকট আকার ধারণ করেছে। এছাড়া ক্যাম্পাসে প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা প্রক্টর পদত্যাগ করায় নিরাপত্তা শঙ্কাতো রয়েছেই। সর্বোপরি আমাদের মূল অভিভাবক ‘উপাচার্য’ পদ শূন্য থাকায় এমন সংকট তৈরি হয়েছে। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা দ্রুত স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রমে ফিরে যেতে চাই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব বিভাগের ভারপ্রাপ্ত হিসাব পরিচালক মহসীন রেজা বলেন, ‘দৈনন্দিন বিভিন্ন কাজের অনুমোদন নিতে পারছি না। বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থসংক্রান্ত বড় কাজগুলো উপাচার্য ছাড়া সম্ভব না। আশা করছি দ্রুত ভিসি নিয়োগের মাধ্যমে এই সংকটের সমাধান হবে।’
ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাইলে জবি সংস্কার আন্দোলনে যুক্ত থাকা ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী নূর নবী বলেন, আমাদের প্রক্টর পদত্যাগ করেছেন। তখন থেকেই আমরা আমাদের নিরাপত্তার বিষয়টি দেখেছি। আমরা চাই নতুন প্রক্টর এসে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করুক।
এ বিষয়ে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সানজিদা ফারহানা বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য ছাড়া এখন অভিভাবকশূন্য। এতে ক্লাস চলমান রাখতে সমস্যা না হলেও শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট তোলা সহ নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। উপাচার্য নিয়োগের পর আশাকরি ক্যাম্পাসের স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে আসবে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (রু.দা.) জাহিদ মালিকের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কথা বলা যায়নি।
(ঢাকাটাইমস/২৬আগস্ট/পিএস)

মন্তব্য করুন