ছাত্র আন্দোলনে নিহত যোবায়েরের স্মরণ সভায় বিএনপির দুই পক্ষের হট্টগোল

রাজধানীর উত্তরখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত বিএনপি নেতা যোবায়েরের জন্য আয়োজিত স্মরণ সভায় হট্টগোল হয়েছে। অভিযোগ, বিএনপির একটি পক্ষের লোকজন অপর পক্ষের নগর নেতাদের বিতাড়িত করে সমাবেশ শেষ করে।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ৪৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মারজানকে শেষ পর্যন্ত সমাবেশ সমাপ্ত করার সুযোগও দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত উত্তরখান থানা বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক যোবায়েরের স্মরণে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী কোনো নেতাকে দাওয়াত দেওয়া হবে না মর্মে সিদ্ধান্ত হলেও থানার বিএনপি নেতারা বিভিন্ন মাধ্যমে তাদের দাওয়াত দেন।
অনুষ্ঠানের শুরুর দিকে বিএনপি ঢাকা মহানগর উত্তর কমিটির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতা হাজী মোস্তফা জামানসহ মহানগরীর প্রায় ডজনখানেক নেতা মূল মঞ্চে উঠে আসন গ্রহণ ও বক্তব্য দেওয়া শুরু করলে যুবদল নেতা এস এম জাহাঙ্গীরের ভাগিনা নুরুজ্জামান নুরুর এবং যুবদল নেতা অপু শিকদারের অনুসারী বাহরাম খান, ছাত্রদল উত্তরখান থানার সাংগঠনিক সম্পাদক শুভর নেতৃত্বে একদল বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী স্টেজ দখলে নিয়ে নগর বিএনপি নেতাদের তাড়িয়ে দিয়ে এলাকা ছাড়া করে।
এই নেতাদের বিদায় করার পর স্টেজে আসেন যুবনেতা এস এম জাহাঙ্গীর ও তার অনুসারীরা। পরে তারা সভাপতিকে আসনে না বসিয়েই অনুষ্ঠান শেষ করেন।
এসময় বক্তব্যদানকালে জাহাঙ্গীর অনুসারী নেতারা তাড়িয়ে দেওয়া নেতাদের বিরুদ্ধে নানা উসকানিমূলক স্লোগান ও বক্তব্য দিতে থাকেন।
নিজেদের তাড়িয়ে দেওয়া এবং বিষোদগারমূলক বক্তব্য দেওয়ার বিষয়ে হাজী মোস্তফা জামান বলেন, ‘আমাদের স্টেজে থাকতে না দিয়ে তারা যে অন্যায় এবং অশোভন আচরণ করেছে আমরা চাইলে তা সহজেই প্রতিহত করতে পারতাম। কিন্তু যোবায়েরের স্মরণে দেওয়া দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে গিয়ে এমনটা করা কোনোভাবেই ন্যায়সঙ্গত হতো না। এতে নিহতের আত্মাকে যেমন কষ্ট দেওয়া হতো, সেইসঙ্গে বিএনপির ইমেজ নষ্ট হতো।’
হাজী মোস্তফা জামান আরও বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া গতকালের ঘটনাটি আমরা পার্টির ঊর্ধ্বতনকে জানিয়েছি। আশা করি, ওনারা দলীয়ভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’
এ বিষয়ে এস এম জাহাঙ্গীরের বক্তব্য জানার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বিএনপির অন্যতম মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতা এম কফিল উদ্দিন বলেন, ‘এই অনুষ্ঠানে আমারও যোগদানের কথা ছিল। কিন্তু বিজিএমইএ’র একটি গুরুত্বপূর্ণ মিটিং থাকায় আমি উপস্থিত হতে পারিনি। তবে ঘটনা যা শুনেছি এবং যারা এটা ঘটিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আমার কিছু বলার নেই।’
(ঢাকাটাইমস/২৭আগস্ট/এজে)

মন্তব্য করুন