জাবিতে উপাচার্য নিয়োগে আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের চক্রান্ত ফাঁস

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) শিক্ষার্থীদের উপর হামলায় জড়িত শিক্ষকদের বাঁচাতে উপাচার্য নিয়োগে আওয়ামীপন্থি শিক্ষকরা ষড়যন্ত্র করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) উপাচার্য নিয়োগের জন্য বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ থেকে চারজন শিক্ষকের জীবনবৃত্তান্ত শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে পাঠানো হয়েছে। এতে মাধ্যম হিসেবে কাজ করেছেন বর্তমান শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদের ভাগ্নি ইসমত আরা নীলা। ইসমত আরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের’ সদস্য।
যেসব শিক্ষকদের জীবনবৃত্তান্ত পাঠানো হয়েছে তারা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক খন্দকার মো. আশরাফুল মুনিম, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক খন্দকার মোহাম্মদ শরিফুল হুদা, প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. শাহাদাত হোসেন এবং ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আনিছা পারভীন জলি।
তবে শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে সুপারিশ করার কথা অস্বীকার করে ইসমত আরা বলেন, শিক্ষা উপদেষ্টা আমার খালু একথা সত্য কিন্তু আমি কোনো ধরনের সুপারিশ করিনি। আমার শিক্ষকতা জীবনে কোনো ধরনের অনৈতিক কাজ করিনি।
কিন্তু এর আগে সন্ধ্যায় এক সাংবাদিকের সঙ্গে ফোনালাপে সিভি পাঠানোর কথা ইসমত আরা নীলা স্বীকার করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন ঐ সাংবাদিক।
সন্ধ্যার ফোনালাপের বিষয়ে তিনি বলেন, শিক্ষা উপদেষ্টা আমার খালু একথা আমি স্বীকার করেছি কিন্তু সিভি পাঠানোর কথা আমি বলিনি।
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আহসান লাবিব বলেন, ‘অনেকে উপাচার্য হওয়ার জন্য অনেকভাবে বিভিন্ন উপদেষ্টার সঙ্গে যোগাযোগ করছে। তাদের স্পষ্ট করে বলি, এসব করে লাভ নাই। ছাত্ররা যাদেরকে চাইবে, তারাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে আসবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের একজন শিক্ষক শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে চারজনের সিভি পাঠিয়েছেন। তাদের এই চারজনকে মনোনীত করার কারণ হলো, প্রশাসনে এদেরকে এনে জাহাঙ্গীরনগরে ছাত্রলীগ ও পুলিশ কর্তৃক সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলায় মদদদাতা শিক্ষকদের বাঁচানো। এটা আমরা কোনোভাবেই মেনে নেব না। আমরা হুঁশিয়ার করে দিচ্ছি, যদি কেউ হামলায় মদদদাতা শিক্ষকদের বাঁচানোর জন্য কোনোরকম পাঁয়তারা করে তাহলে শিক্ষার্থীরা তাদের বর্জন করবে।’
উল্লেখ্য ইসমত আরা জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক নূহু আলমের স্ত্রী। নূহু আলম বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থি শিক্ষক রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সুপারিশকারী ও তার স্বামী সরাসরি ছাত্রদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন।
(ঢাকাটাইমস/৩১আগস্ট/পিএস)

মন্তব্য করুন