ঢাকার সিএমএম আদালতে শেখ হাসিনার নামে ৩ হত্যা মামলা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতা নিহতের ঘটনায় ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (সিএমএম) আরও চারটি মামলা হয়েছে। যার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনটি মামলায় আসামি।
মামলাগুলোর মধ্যে কোটা আন্দোলনে গুলিতে রাকিবুল ইসলাম নামে এক যুবককে হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৯৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন নিহতের পিতা মো. আবু বক্কর সিদ্দিকী।
বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামান বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করে মিরপুর মডেল থানা পুলিশকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।
গত ১৯ জুলাই রাত ৯ টায় মিরপুর-১০ এ গোলচত্ত্বর এলাকায় রাকিবুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হন। পরে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এছাড়া কোটা আন্দোলনে গুলিতে যাত্রাবাড়ীর বিবির বাগিচায় মো. শাওন তালুকদার মৃত্যুর অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন নিহতের চাচা ওয়াসি উদ্দিন আলো।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহীন রেজা বাদী জবানবন্দি গ্রহণ শেষে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।
গত ৫ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে যাত্রবাড়ী থানাধীন বিবির বাগিচা এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
অন্যদিকে গুলিতে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৮৩ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন ভিকটিম শিমুল আহমেদ (২২)।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান বাদী জবানবন্দি গ্রহণ শেষে মিরপুর মডেল থানা পুলিশকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।
গত ১৯ জুলাই সকাল ১০ টার দিকে মিরপুর ১০ নম্বরস্থ গোল চত্তর, আলোক হাসপাতালের সামনের পাকা রাস্তার ওপর শিমুল আহমেদ গুলিবিদ্ধ হয়ে রক্তাক্ত যখম হন।
এদিন হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ ৬০ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন ভিকটিম আল আমিন।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহীন রেজা বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
গত ৫ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে যাত্রবাড়ী থানাধীন কাজলা ব্রিজ সংলগ্ন রাস্তার ওপর আল আমিন গুলিবিদ্ধ হয়ে রক্তাক্ত যখম হন।
মামলাগুলোর আসামিরা হলেন- সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, পুলিশের সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন, আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ, বিপ্লব কুমার সরকার, হাবিবুর রহমান ও আওয়ামী লীগ নেতা মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
(ঢাকাটাইমস/১৮সেপ্টেম্বর/ইএস)