বিএনপির উত্তরা পশ্চিম থানার যুগ্ম আহ্বায়ক আজমল দল থেকে বহিষ্কার

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির উত্তরা পশ্চিম থানার যুগ্ম আহবায়ক আজমল হুদা মিঠুকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
শনিবার দিনগত রাতে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক স্বাক্ষরিত এক চিঠি থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুষ্পষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে আপনাকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে নির্দেশক্রমে বহিষ্কার করা হলো।
এরআগে উত্তরা পশ্চিম থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আজমল হুদা মিঠুর বিরুদ্ধে দখল-চাঁদাবাজিসহ নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ উঠে। তার বিষয়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে অন্তর্বর্তীসরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বরাবর অভিযোগপত্র জমা দেন স্থানীয়রা।
সম্প্রতি জমা দেওয়া অভিযোগপত্রে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর উত্তরা পশ্চিম থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আজমল হুদা মিঠু ওই এলাকায় চাঁদাবাজির দখল নেন। ফুটপাতসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে মাসিক ভিত্তিতে মাসোহারা আদায় ও বার থেকে মদ বিক্রির কমিশন আদায় এবং পকেটমার পোষার মতো বির্তকিত কর্মকাণ্ডে জড়ানোর অভিযোগ করা হয় মিঠুর বিরুদ্ধে। এসব কর্মকাণ্ডে স্থানীয়দের পাশাপাশি বৃহত্তর উত্তরা বিএনপির সিনিয়র নেতারাও ক্ষুব্ধ বলে উল্লেখ করা হয়। অভিযোগপত্রে আজমল হুদা মিঠুর দখল ও চাঁদাবাজির ফিরিস্তি তুলে ধরা হয়।
মিঠুর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগের শুরুতেই ৬ আগস্ট প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতার গাড়ি ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। এছাড়া পশ্চিম থানা এলাকার বেশ কিছু বার থেকে মাসিকভিত্তিতে চাঁদা নেওয়ার অভিযোগও তোলা হয়েছে। এ কাজে মিঠু সরাসরি কোথাও যায় না। তার তৈরি করা কিশোর গ্যাং সদস্যরা বারগুলোতে নিয়মিত মহড়া দেন ও মাসোহারা আদায় করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। রাজউক মার্কেটের তিনটি দোকান বন্ধ করে চাঁদা আদায় করার বিষয়টিও লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন দুলাল আহমেদ। রাজউক মার্কেটে মিঠুর মালিকানা রয়েছে। এতদিন আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে মিলেমিশে ব্যবসা করলেও এখন তাদের মালিকানায় থাকা অনেক দোকান দখল করছেন বলে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছে স্থানীয় ওই ব্যবসায়ী।
তাছাড়া উত্তরা-পশ্চিম থানা এলাকায় অবস্থিত ফার্নিচার মার্কেট, জমজমের পাশে রাজউকের জায়গায় অবস্থিত কয়েকটি নামকরা হোটেলের ভাড়াসহ এলাকার ফুটপাতের পুরো নিয়ন্ত্রণও তার নেতৃত্বে বিএনপির একটি পক্ষ নিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
বিএনপি নেতা মিঠুর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগে সবশেষ উল্লেখ করা হয়েছে উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরের নির্মাণাধীন মসজিদ কমিটিতে প্রভাব খাটানো ও মসজিদের ইমাম পরিবর্তনের চেষ্টা করা। স্থানীয় আওয়ামী লীগের সমর্থিত কাউন্সিলর ও ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হত্যার ঘটনায় করা মামলার আসামি আফসার উদ্দিন খানের ঘনিষ্ঠজনকে মসজিদের ইমাম নিযুক্ত করার চেষ্টা করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/২৯সেপ্টেম্বর/এমআই/ইএস)

মন্তব্য করুন