কাঁচামরিচের দাম বেড়ে ৪৮০ টাকা কেজি

মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের ৪৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ। এতে অনেকটাই দিশেহারা হয়ে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। শুধু কাঁচা মরিচই নয়, সবজি বাজারগুলোতে ৮০ টাকা দরের নিচে মিলছে না কোনো সবজি।
৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর বাজারে সব ধরনের সবজির দাম প্রায় অর্ধেকে সেমে এসেছিলে। কিন্তু কিছুদিনের ব্যবধানে সব ধরনের সবজির দাম আবার বেড়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের এমন ঊর্ধ্বমূল্যে বিপাক পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। নিত্যপণ্যের ঊর্ধমুখী চড়া মূল্যে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ।
শনিবার (৫ অক্টেবর) সরজমিনে উপজেলার ঝিটকার হাটে কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি ইন্ডিয়ান কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪৪০ থেকে ৪৮০ টাকা। এ ছাড়া বেগুন ৮০, পটল ৭০, মুলা ৪০, বরবটি ৮০, করলা ৮০, ধুন্দল ৪০, কাঁচা পেঁপে ৩০, কচুরমুখি ৬০, শসা ৬০, আলু ৬৫-৭০, পিঁয়াজ (দেশি) ১১০, রসুন (দেশি) ২০০, রসুন (ইন্ডিয়ান) ২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ইজিবাইক চালক মানিক মিয়া বলেন, এক কেজি কাঁচামরিচের দাম যদি হয় ৪৮০ টাকা হয়, তাহলে আমরা সংসার চালাব কীভাবে? বর্তমানে গাড়ি চালিয়ে যে টাকা আয় হয়, তা দিয়ে সংসার চালাতে খুবই কষ্ট হয়। ইদানীং মাছ মাংসের সাথে যেভাবে সবজির দাম বাড়ছে তাতে আমাদের বেঁচে থাকায় মুশকিল।’
ঝিটকা বাজারের খুচরা কাঁচা সবজি ব্যবসায়ী পবন জানান, বৃষ্টির কারণে কাঁচামরিচের আমদানি কম। তাই দাম বেশি। আমদানি বাড়লে হয়তো দাম কমবে। শুক্রবারে তারা ৩২০-৩৬০ টাকা করে কাঁচামরিচ বিক্রি করেন। শুনিবার ৪৪০-৪৮০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করতে হচ্ছে।
কারণ হিসেবে এই দোকানি বলেন, আমদানি খুবই সীমিত। তাই দামও বাড়তি। শীতকালীন সবজির পুরোপুরি বাজারে এলে দাম স্বাভাবিক হতে পারে।
এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের মানিকগঞ্জ জেলার সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল বলেন, শুক্র ও শনিবার আমদানি বন্ধ থাকায় দাম একটু বেশি হতে পারে। তবে দু-এক দিনের মধ্যে আমদানি বাড়লে দাম স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
তাদের বাজার মনিটরিং চলমান রয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, যদি কোনো ব্যবসায়ী নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি করেন এবং অতিরিক্ত মুনাফা আদায় করেন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
(ঢাকাটাইমস/৫অক্টোবর/মোআ)

মন্তব্য করুন