কুষ্টিয়ায় পদ্মা নদীতে এএসআই সদরুলের মরদেহ উদ্ধার

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে পদ্মা নদীতে হামলার শিকার হয়ে নৌকা থেকে পানিতে পড়ে নিখোঁজ দুই পুলিশের মধ্যে একজনের মরদেহ মরাদেহ উদ্ধার করেছেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। তিনি হলেন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সদরুল আলম।
মঙ্গলবার বিকালে কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ এলাকায় নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিখোঁজ অপর এএসআই মুকুল হোসেন এখনো উদ্ধার হননি।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে রোববার (২৭ অক্টোবর) দিবাগত রাতে উপজেলার কয়া ইউনিয়নের বেড় কালোয়া এলাকায় পদ্মা নদীতে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হন পুলিশের এক সদস্য ও তাদের সঙ্গে থাকা দুই ইউপি সদস্য।
স্থানীয় লোকজন ও জেলেরা জানান, কুমারখালীর বেড় কালোয়া এলাকায় পদ্মা নদীতে অবৈধভাবে জাল ফেলে মাছ ধরছিলেন জেলেরা। জেলেদের মাছ ধরা নিয়ে এই হামলার শিকার হন পুলিশ সদস্যরা। এ সময় তাদের হামলায় আহত হন এক পুলিশ সদস্য এবং দুই ইউপি সদস্য। নিখোঁজের এক দিন পর এএসআই সদরুলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, রোববার দিবাগত রাতে মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য পদ্মার ওপারে চর সাদীপুর এলাকায় কুমারখালী থানার ছয়জন পুলিশের একটি টিম অভিযানে যাচ্ছিল। এ সময় পদ্মা নদীতে তাদের নৌকা ডুবিয়ে দেয় কতিপয় দুষ্কৃতকারী। চার পুলিশ সদস্য নদী থেকে উঠে আসতে পারলেও দুজন নিখোঁজ হন। তাদের মধ্যে এএসআই সদরুল আলমের মরদেহ নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো নিখোঁজ এএসআই মুকুল। এ ঘটনায় মামলা হয়নি।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন একজন পুলিশ সদস্য, কয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ছানোয়ার হোসেন ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আনোয়ার হোসেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ইলিশের নিরাপদ প্রজনন নিশ্চিতে গত ১৩ অক্টোবর থেকে ইলিশ ধরা, পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয়, মজুতের ওপর নিষেধাজ্ঞা চলছে। এর মধ্যেই পদ্মা নদীতে অবৈধভাবে ইলিশ ধরছেন জেলেরা।
জেলেদের ভাষ্য, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অসাধু জেলেরা নদীতে মাছ ধরছিল। গভীর রাতে দুই মেম্বর ও ছয় পুলিশ পদ্মা নদীর বেড় কালোয়া এলাকায় নেমে অভিযানের কথা বলে কয়েকজন জেলের কাছ থেকে ইলিশ মাছ জোরপূর্বক নেয়ার চেষ্টা করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে শিলাইদহের শ্রীখোল এলাকায় দুর্বৃত্তরা পুলিশ ও মেম্বরদের ওপর হামলা চালান। পরে খবর পেয়ে স্থানীয় জেলেরা এসআই নজরুলসহ দুই পুলিশ ও দুই মেম্বরকে উদ্ধার করেন। তবে অপর দুই এএসআইকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) মিজানুর রহমান বলেন, ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ধরতে গিয়েছিলেন ওই পুলিশ সদস্যরা। কীভাবে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে তদন্ত করা হচ্ছে।
(ঢাকাটাইমস/২৯অক্টোবর/মোআ)

মন্তব্য করুন