টেকনাফে অপহৃত ৯ কৃষককে উদ্ধারে পুলিশ তৎপর নয় অভিযোগ
কক্সবাজারের টেকনাফে দুই রোহিঙ্গাসহ অপহৃত নয়জন কৃষক ২৮ ঘণ্টায়ও উদ্ধার হননি। অপহরণকারীরা ফোনে দেড় লাখ টাকা করে মুক্তিপণ দাবি করছে। অপহৃত কৃষকদের উদ্ধারে পুলিশ তৎপর নয় বলে অভিযোগ।
রবিবার (৩ নভেম্বর) অপহৃতদের পরিবার ও স্থানীয় জনগণ এসব তথ্য জানান। পুলিশের নিষ্ক্রিয় ভূমিকায় হতাশ তারা।
আজ বেলা ১১টার দিকে অপহৃতদের বাড়িতে গেলে পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় জনতা জানান, পুলিশ উদ্ধার অভিযানে গেলে তাদের সঙ্গে স্থানীয় জনতাও পাহাড়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে। কিন্তু পুলিশের এ ব্যাপারে কোনো তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। গতকাল পুলিশ এসে রাস্তায় দাঁড়িয়ে নাম-ঠিকানা নিয়ে চলে যায়। এরপর থেকে পুলিশের আর দেখা মেলেনি। অপহৃতদের উদ্ধারে পুলিশ এখন কী করছে তাও জানেন না কেউ।
পরিবারের সদস্যরা জানান, গত রাতে অপহরণকারীরা ফোনে প্রত্যেকের জন্য দেড় লাখ টাকা করে মুক্তিপণ চাইছে। টাকা দিতে না পারলে লাশ বাড়িতে পাঠাবে বলে হুমকি দেয় অপহরণকারীরা।
হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারী বলেন, ‘স্থানীয় সাতজন অপহৃত হয়েছেন। পাহাড়ের পদদেশে ক্ষেতে কাজ করার সময় তাদের ধরে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। আমি টেকনাফ মডেল থানাকে জানিয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে।’
জানতে চাইলে টেকনাফ মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানান, অপহৃত নয়জনকে উদ্ধারে ফিজিক্যাল ও টেকনিক্যাল দুভাবেই কাজ করছে পুলিশ।
গতকাল (২ নভেম্বর) সকাল সাড়ে আটটার দিকে দুই রোহিঙ্গাসহ নয়জন কৃষক উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কানজরপাড়ার করাচিপাড়া পাহাড়ি এলাকা থেকে অপহৃত হন।
অপহৃতরা হলেন- নুরুল ইসলামের ছেলে আনোয়ার, বাঁচা মিয়ার ছেলে গিয়াস উদ্দিন, জালাল আহমদের ছেলে বেলাল উদ্দিন, আবুল হোছনের ছেলে আবু বকর, নুরুল আলমের ছেলে মুহাম্মদ আলম, আজিজুর রহমানের ছেলে কফিল ও নুরুল হোছন। দুই রোহিঙ্গার নাম-ঠিকানা পাওয়া যায়নি।
(ঢাকাটাইমস/৩নভেম্বর/মোআ)
মন্তব্য করুন