চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞার পরের ইলিশ নিয়ে চলছে গবেষণা
প্রজননের জন্য সাগর থেকে নদীতে আসা ইলিশ নিয়ে প্রতিবছরই গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। কাজটি করেন মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট নদী কেন্দ্র চাঁদপুরের গবেষকরা। এ বছরও পদ্মা-মেঘনা নদীতে নিষেধাজ্ঞা শেষে ধরা পড়াইলিশ নিয়ে গবেষণা চলছে।
সদর উপজেলার হরিণা ফেরিঘাট সংলগ্ন মাছের আড়তে মৎস্য বৈজ্ঞানিক ও একজন গবেষণা সহকারীকে ডিম ছেড়ে দেয়া ইলিশের পরিমাপ করতে দেখা যায়।
গত ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন জেলার প্রায় ৭০ কিলোমিটার নদীতে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা ছিল। নিষেধাজ্ঞার সময় এবং বর্তমানে চলছে ইলিশ গবেষণা কার্যক্রম।
জেলেরা পদ্মা-মেঘনা নদীতে ইলিশ ধরে সরাসরি নিয়ে আসেন হরিণা ফেরিঘাট আড়তে। তাই এটিকে ইলিশের প্রকৃত অবস্থান জানার জন্য উপযুক্ত স্থান হিসেবে নির্ধারণ করেন মৎস্য গবেষকরা। এই ঘাটে প্রায় ১০টি আড়তে ইলিশ বিক্রি হয়।
জেলেদের ধরে আনা ছোট, মাঝারি ও বড় সাইজের ইলিশের দৈর্ঘ্য, প্রস্ত, ওজন পরিমাপ করেন গবেষকরা। কী পরিমাণ ইলিশ ডিম ছেড়েছে, কী পরিমাণ ডিমসহ ধরা পড়ছে, ছোট সাইজের ইলিশ ডিম ছাড়ছে কি না তাও জরিপ করা হচ্ছে।
হরিণা মাছঘাটে প্রায় এক ঘণ্টা ইলিশের গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করেন মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট নদী কেন্দ্র চাঁদপুরের মৎস্য বৈজ্ঞানিক রিজভী কায়সার ও গবেষণা সহকারী আব্দুস সালাম।
জানা গেছে, প্রতি বছর এই সময়ে জেলার মতলব উত্তর উপজেলা থেকে শুরু করে সদর ও হাইমচর উপজেলার নদী উপকূলীয় এলাকার আড়তগুলোতে এই জরিপ কার্যক্রম চলে। গবেষণার জন্য নিষেধাজ্ঞার সময় মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ইলিশ গবেষকরা তাদের নিজস্ব জাহাজে করে অভয়াশ্রম এলাকায় নিজস্ব ফাঁদ দিয়ে ইলিশ ধরে গবেষণা কার্যক্রম করেন।
মৎস্য বৈজ্ঞানিক রিজভী কায়সার বলেন, ‘আজকে চাঁদপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র, হরিণা ফেরিঘাট ও হাইমচরের কয়েকটি আড়তে ইলিশের অবস্থান সম্পর্কে জরিপ করা হচ্ছে। আমাদের এই কাজের ফলাফল সম্পর্কে বক্তব্য দেয়ার অনুমতি নেই। তবে এই কার্যক্রমের ফলাফল আমাদের প্রধান মৎস্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন আকারে পাঠাবেন। এটি মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশ করা হয়।’
(ঢাকাটাইমস/৫নভেম্বর/মোআ)
মন্তব্য করুন