ফরিদপুরের কৃতী অভিনেতা অমল বোসকে কেউ মনে রাখেনি

একসময়ের তুমুল জনপ্রিয় অভিনেতা অমল বোস। যাকে এক নামে চেনে কয়েক প্রজন্ম। খারাপ মানুষের চরিত্রে অভিনয় করে যেমন গালি শুনেছেন, তেমনি ইতিবাচক ও কমেডি চরিত্রে কাজ করে দর্শকদের করতালিও পেয়েছেন অনেকবার।
গুণী সেই অভিনেতাকে হারানোর ১৩ বছর হয়ে গেল আজ। ২০১২ সালের ২৩ জানুয়ারি ঢাকায় মারা যান তিনি। এদিন সকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হলে অমল বোসকে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে নেওয়া হয়। বেলা ১২টার দিকে চিকিৎসক জানান, তিনি মারা গেছেন।
মৃত্যুর এত বছর পর অমল বোস প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছেন সিনেপ্রেমীদের স্মৃতির পাতা থেকে। তাকে নিয়ে কোনো স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান নেই দেশের কোনো টিভি চ্যানেলে। কোনো আয়োজন নেই এফডিসিতেও। তাকে নিয়ে সহকর্মীদের কোনো ফেসবুক পোস্টও চোখে পড়ে না।
অমল বোসের জন্ম ১৯৪৩ সালের ১১ অক্টোবর ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারীতে। বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে নিয়মিত অভিনয় করেছেন মঞ্চ, বেতার, টেলিভিশন ও বিজ্ঞাপনচিত্রে। বিশেষ করে ক্যারিয়ারের শেষ দিকে ‘ইত্যাদি’র নানা চরিত্রে সমধিক পরিচিতি পান তিনি।
ষাটের দশকে মঞ্চ নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে এ অঙ্গনে যাত্রা অমল বোসের। ১৯৬৩ সাল থেকে ক্লাব-থিয়েটারের মঞ্চনাটকে অভিনয় শুরু করেন। মঞ্চনাটকে অভিনয়ের পাশাপাশি নাটক পরিচালনাও করতেন। তার নির্দেশনায় নুরুল মোমেনের ‘আলো ছায়া’ নাটক দারুণ জনপ্রিয়তা পায়। অবসর, সপ্তরূপা, শৈবাল ও রংধনু নাট্যগোষ্ঠীর হয়ে অসংখ্য নাটকে অভিনয় করেছেন।
সিনেমায় অভিনয় শুরুর এক দশকের মাথায় ১৯৭৫ সালে ‘কেন এমন হয়’ নামে একটি সিনেমা পরিচালনা করেন অমল বোস। অভিনয়ে ছিলেন ববিতা, উজ্জ্বল, গোলাম মুস্তফা ও রওশন জামিলের মতো নামি সব মুখ।
অমল বোস অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে রাজা সন্নাসী, মহুয়া, নীল আকাশের নিচে। সোনালী আকাশ, চন্দন দ্বীপের রাজকন্যা, গুনাই বিবি, রাজলক্ষী-শ্রীকান্ত প্রভৃতি। তার অভিনীত সর্বশেষ সিনেমা অনিমেষ আইচ পরিচালিত ‘না-মানুষ’।
(ঢাকাটাইমস/২৩জানুয়ারি/এজে)

মন্তব্য করুন