নির্বাচনি ব্যবস্থার সংস্কারের জন্য ৩ মাস সময় যথেষ্ট: মেজর হাফিজ 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪:২১| আপডেট : ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫:৩৩
অ- অ+

দ্রুত নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘নির্বাচনি ব্যবস্থার সংস্কারের জন্য তিন মাস সময় যথেষ্ট। সুতরাং নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের সরকার আসার সুযোগ দিন।’

তার প্রশ্ন, ‘৭১ সালে যুদ্ধ করেছি, নির্বাচিত সরকার ছিল না বলে আমাদের যুদ্ধ করতে হয়েছিল। আবার কেন নির্বাচিত সরকারের জন্য আমাদের তর্ক-বিতর্ক করতে হবে?’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের কথা বললে উপদেষ্টাদের মুখ কালো হয়ে যায়। মনে হয়, আমরা কোনো অন্যায় দাবি করছি। আমরা কোনো অন্যায় দাবি করছি না। বিএনপিকে ক্ষমতায় বসান, সেটাও বলছি না। বলব আপনারা কিংস পার্টি গঠন করবেন না। যারা রাজনীতি করতে চায়, তারা সরকার থেকে বেরিয়ে রাজনীতি দল গড়ে তুলুক।’

রবিবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন মেজর হাফিজ।

তিনি বলেন, ‘একটি পার্লামেন্ট সংস্কার করবে সেই পার্লামেন্টকে আসার ব্যবস্থা করে দিন, শুধু শুধু সময়ক্ষেপণ করবেন না। ছয় মাসেই বুঝা গেছে আপনাদের দৌড় কতটুকু। তবুও আপনাদেরকে সম্মান করি। আমরা সকল রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ঐক্য চাই। ছাত্র-জনতার সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্য অত্যন্ত প্রয়োজন। আশা করি এই ঐক্যের পথে আপনারা কেউ দেয়াল তৈরি করবেন না।’

হাফিজ বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা মানুষকে উজ্জীবিত করেছে। সারা পৃথিবী জানে বাঙালি লড়াইয়ের জাতি তারা প্রতিরোধ করতে জানে। মুক্তিযুদ্ধ যদি না হতো তাহলে দেখা যেত এক মাস পরে ভারতে যারা পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে তারা দেশে ফিরত এবং শেখ মুজিবকে প্রধানমন্ত্রী বানানো হতো। আমরা দেশ বাঁচাতে এবং মা-বোনদের ইজ্জত রক্ষার্থে অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছি।’

আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘শুধু বাংলাদেশে কেন পৃথিবীর কোনো রাষ্ট্রে এরকম দুর্নীতি করেছে কোনো দল এটার প্রমাণ পাওয়া যাবে না। বিএনপি এবং ছাত্র-জনতার ত্যাগের ফলে আমরা আবার নতুন করে গণতন্ত্রপূর্ণ প্রতিষ্ঠার সুযোগ পেয়েছি। সুতরাং আমাদের উচিত এই সময়ে সকলে ঐক্যবদ্ধ থাকা।’

ভারতের উদ্দেশে মেজর হাফিজ বলেন, ‘তাদের পছন্দের নেত্রী বিদায় হওয়াতে গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। এখন বাংলাদেশের মধ্যে প্রবেশ করে আম গাছ কেটে নিয়ে যায়, বাংলাদেশের সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার চেষ্টা করে। আমরা নীরবে অবলোকন করছি। ভুলে যাবেন না ’৭১ সালে যুদ্ধ করে আমরা এ দেশ স্বাধীন করেছি।’

তিনি বলেন, ‘প্রফেসর ইউনূস অত্যন্ত সম্মানের ব্যক্তি, তাকে আমরা সম্মান জানাই। তার কোনো সফলতা দেখতে পাচ্ছি না, তবুও তাকে আমরা সম্মান জানাবো। কিন্তু নাবালকের কথায় আপনি চলবেন না।’

মেজর হাফিজ বলেন, ‘জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের মানুষ সম্মান করে তার দেশপ্রেম এবং সততার জন্য।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশে নতুন একটি কথা শোনা যাচ্ছে প্রোক্লেমেশন, মনে হচ্ছে দেশটা এই প্রথম স্বাধীন হলো। এখানে যারা উপস্থিত রয়েছেন তারা ’৭১ সালের সেই দিনের কথা মনে করুন। যারা হাসতে হাসতে জীবন দিয়েছেন। জীবনটা একেবারেই তুচ্ছ। এটা প্রত্যেকটি মুক্তিযোদ্ধার মনের কথা। আমরা যুদ্ধ করেছি কেন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য। মানবিক, মানবতা, সাম্য এ লক্ষ্য ধারণ করে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম। তার মধ্যে আসছে প্রোক্লেমেশন জনগণ একটা বুঝেই না।’

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজীজ উলফাতের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খানের সঞ্চালনায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, ফজলুর রহমান, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/২৬জানুয়ারি/জেবি/এজে)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
নিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতের আপিল শুনানি চলছে
অল্পসময়ের ব্যবধানে নটর ডেমের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু, নানা গুঞ্জন
দিনাজপুরের শালবনে মহাবিপন্ন ‘খুদি খেজুর‘ গাছের সন্ধান
সীমান্তে সেনা উপস্থিতি কমাতে একমত ভারত-পাকিস্তান
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা