প্রাথমিকের ৬৫০০ শিক্ষক নিয়োগ বাতিলে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৮:৫৩
অ- অ+

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণ ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগ কার্যক্রম বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

বৃহস্পতিবার অধিদপ্তরের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে এই আবেদন করা হয়েছে।

আগামী রবিবার আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্টে এ বিষয়ে শুনানি হবে বলে জানান ডেপুটি এটর্নি জেনারেল মো. আসাদ উদ্দিন।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণ ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগ কার্যক্রম বাতিল করে রায় দেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ রুল যথাযথ ঘোষণা (অ্যাবসোলুট) করে রায় ঘোষণা করেন।

হাইকোর্টের রায়ে আপিল বিভাগের কোটা সংক্রান্ত সর্বশেষ রায় অনুসরণ করে নতুন ফলাফল প্রকাশ করতে নির্দেশ দেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি এটর্নি জেনারেল আখতার হোসেন মো. আবদুল ওয়াহাব।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণ ব্যক্তিদের নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা অনুসরণের অভিযোগে উত্তীর্ণদের ফলাফল প্রকাশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নিয়োগবঞ্চিত ৩০ প্রার্থী হাইকোর্টে রিটটি করেন।

সে রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত বছরের ১৯ নভেম্বর বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন। আদালত আদেশে এ নিয়োগের কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন।

রুলে ৩১ অক্টোবর ফলাফল প্রকাশের বিজ্ঞপ্তি ও নিয়োগ বিষয়ে ১১ নভেম্বরের নির্দেশনা সংবলিত স্মারক কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়। সে রুল যথাযথ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গত বছরের ২৩ জুলাই কোটাপদ্ধতি সংশোধনের পর প্রজ্ঞাপন জারি করে।

এতে বলা হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবরের জারি করা পরিপত্রসহ আগের এ-সংক্রান্ত সব পরিপত্র বা প্রজ্ঞাপন বা আদেশ রহিত করা হলো। ফলে আগের কোনো আদেশ বহাল থাকছে না।

অন্যদিকে রিটকারীদের আইনজীবী বলেন, এই ৬ হাজার ৫৩১ প্রার্থীকে নির্বাচন করে নিয়োগের ক্ষেত্রে আগের সেই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯ অনুসরণ করা হয়, যেখানে নারী কোটা ৬০ শতাংশ, পোষ্য কোটা ২০ শতাংশ ও ৪ শতাংশ অন্য কোটা ছিল।

(ঢাকাটাইমস/১৩ফেব্রুয়ারি/এজে)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
যশোরে গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
ঈদ টার্গেট করে বিপুল জাল নোট তৈরি, ৪০ লাখ ছাড়ার পর পুলিশের হাতে ধরা
সুনামগঞ্জে শিশু ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বরেকর্ড, সুপার ওভারে শূন্য রানেই অলআউট
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা