সাগর-রুনি হত্যামামলা: ডিবিতে থাকা নথি আগুনে পুড়ে গেছে, আদালতকে রাষ্ট্রপক্ষ

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার ডিবিতে থাকা নথি আগুনে পুড়ে গেছে বলে আদালতকে জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। এদিকে, এ মামলার তদন্ত করতে টাস্কফোর্সকে আরো ৬ মাসের সময় দিয়েছেন হাইকোর্টে।
মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এদিন রাষ্ট্রপক্ষ আদালতকে জানিয়েছেন, সাগর-রুনি হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার নথি পুড়ে গেছে। এর পর তদন্তের জন্য রাষ্ট্রপক্ষ আরো ৯ মাস সময় চাইলে আদালত ছয় মাসের সময় দেন।
এদিন আদালতে বাদীপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শিশির মনির। আর রিটকারীর পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি তাদের ভাড়া বাসায় খুন হন।
ওই বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি রুনির ভাই নওশের আলী রোমান বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় হত্যা মামলা করেন। প্রথমে মামলার তদন্ত করেন শেরেবাংলা নগর থানার এক কর্মকর্তা। একই সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্তভার পড়ে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উত্তরের পুলিশ পরিদর্শক মো. রবিউল আলমের ওপর।
দুই মাস পর হাইকোর্টের আদেশে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় র্যাবকে। সেই থেকে আজ পর্যন্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি সংস্থাটি।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর মামলার বাদী পক্ষে আইনি লড়াইয়ের জন্য আইনজীবী শিশির মনিরকে নিযুক্ত করা হয়।
২০১২ সালে হত্যাকাণ্ডের পর তদন্ত ও আসামি গ্রেফতার নিয়ে জনস্বার্থে রিট করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ। সেই রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ওই বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি জারি করা রুলে সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের খুনিদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
(ঢাকাটাইমস/২২এপ্রিল/এফএ)

মন্তব্য করুন