লাশের খবরে পুলিশকে ফোন: অতঃপর যা হলো

জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় কাউন খেতের মাঝখানে নারী পোশাক পরণে মানুষের মতো দুই পা ও মাথা মাটি দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। পাশে পড়েছিল এক জোড়া জুতা। এক ব্যক্তি মাঠে কাজ করতে গেলে এমনটা দেখে চিৎকার শুরু করেন। মুহূর্তের মধ্যেই লাশ পাওয়া গেছে এমন খবরে ভিড় হাজারো লোকজনের। ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে আতঙ্ক। খবর পেয়ে চলে আসেন থানা পুলিশ। তবে পুলিশ মাটি সরিয়ে উদ্ধার করে দেখতে পান মরদেহ নয় কোনো, খড়ের তৈরি করা মরদেহ মতো সাজিয়ে রাখা।
মঙ্গলবার দুপুর ২টা দিকে উপজেলার ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের চর ঘোষেরপাড়া এলাকায় এমন ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, ঠিক মানুষের লাশের মতোই বানিয়ে নারীর কাপড় পড়ানো মাথা ও পায়ের অংশ মাটিতে পুঁতে রেখেছিল। সবাই ভেবেছিল এটি কোন নারীর মরদেহ। এমন খবরে কয়েক গ্রামের হাজারো মানুষ
দেখতে ভিড় করেন। খবর পেয়ে পুলিশ আসলে মাটিতে পুঁতে রাখা সেইটিকে মাটির নিচে থেকে তুলে দেখেন খড়ের তৈরি মরদেহ মতো সাজিয়ে পুঁতে রাখা।
ঘোষেরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মাসুদ রানা বলেন, আমরাও প্রথমে খবর পেয়েছিলাম মরদেহ পাওয়া গেছে কোন এক নারীর। পরে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে সেটি দেখতে পান খড়ের তৈরি করা মরদেহ। মানুষের মতো কাপড় পরিয়ে সাজিয়ে মাটিতে পুতে রাখা হয়েছিল। এলাকার কোন দুষ্ট লোকের এমন কাণ্ড, রাতের বেলায় কেউ এমন মরদেহ মতো সাজিয়ে রেখেছিল।
এ বিষয়ে জানতে মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলামকে মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
(ঢাকা টাইমস/১৩মে/এসএ)

মন্তব্য করুন