জন্মনিবন্ধন কার্যক্রমে জড়িত অসাধু চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা ডিএনসিসির
জন্মনিবন্ধন কার্যক্রমে জড়িত অসাধু চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মো. মাহমুদুল হাসান।
সোমবার রাজধানীর গুলশান-২ নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে ডিএনসিসির সার্বিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক গঠিত কমিটির দ্বিতীয় সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এই ঘোষণা দেন।
মাহমুদুল হাসান বলেন, জন্মনিবন্ধন কার্যক্রম নিরবিচ্ছিন্ন করার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে সচেতনতার সাথে কাজ করতে হবে। জন্ম নিবন্ধন সহ অন্যান্য সনদ সরবরাহ কার্যক্রমে জড়িত অসাধু চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। ডিএনসিসির ম্যাজিস্ট্রেটরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবে।
প্রশাসক বলেন, ডিএনসিসি একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। ওয়ার্ড পর্যায়ের নাগরিকদের জন্য যেসব সেবা রয়েছে সেগুলো কর্মকর্তাদের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জনগণের যে প্রত্যাশা রয়েছে সেই প্রত্যাশা পূরণে ডিএনসিসির কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং গঠিত কমিটি অর্পিত দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট। আইন ও বিধি অনুসরণ করে জবাবদিহিতার মধ্য দিয়ে সিটি কর্পোরেশনের প্রতিটি কাজ পরিচালিত হবে।
তিনি আরও বলেন, ডিএনসিসি রাজস্ব আহরণ করে বিভিন্ন সেবা নিশ্চিত করে। হোল্ডিং ট্যাক্স রাজস্ব আহরণের একটি বড় খাত। আইন অনুযায়ী ডিএনসিসিতে নতুনভাবে সংযুক্ত এলাকার ফ্ল্যাট ও বাড়িতে বসবাস শুরুর সময় থেকে হোল্ডিং ট্যাক্স প্রদান করতে হবে।
এসময় হোল্ডিং ট্যাক্স সংগ্রহের কার্যক্রম জোরদার করার বিষয়ে রাজস্ব বিভাগকে নির্দেশ প্রদান করেন ডিএনসিসির প্রশাসক।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা ও তদারকি করার নির্দেশনা দিয়ে ডিএনসিসির প্রশাসক বলেন, নভেম্বর মাসেও অনেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছে। নিয়মিত মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা ও তদারকি জোরদার করতে হবে। পাশাপাশি জনগণকেও সচেতন করতে হবে ডেঙ্গু প্রতিরোধে নিজেদের বাসাবাড়ি ও আশপাশ পরিষ্কার রাখতে হবে। জমে থাকা পানিতে এডিস মশা জন্মায়, তাই কোথায় যেন পানি জমে না থাকে এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
উল্লেখ্য, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সার্বিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক ডিএনসিসির প্রশাসককে সভাপতি ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে সদস্য-সচিব করে বিভিন্ন সংস্থা ও বিভাগের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে গঠিত কমিটির কর্মপরিধিতে উল্লেখ রয়েছে, কমিটির সদস্যবৃন্দ ‘স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন( সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ অনুযায়ী সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসকের কর্মসম্পাদনে সহায়তা প্রদান করবেন; ‘স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন( সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ এর ধারা ২৫ক এর উপধারা (৩) অনুযায়ী নিযুক্ত কমিটির সদস্যবৃন্দ কাউন্সিলরের দায়িত্ব পালন করবেন।
এর আগে স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক ১৯ আগস্ট ২০২৪ তারিখে মেয়র ও ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে সকল কাউন্সিলরদের স্ব স্ব পদ হতে অপসারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
সভায় ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও কমিটির সদস্য সচিব মীর খায়রুল আলমের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন, ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগে. জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগে. জেনা. ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ মাহে আলম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান, ডিএনসিসির সকল বিভাগীয় প্রধান এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
(ঢাকাটাইমস/২৫নভেম্বর/আরএইচ/এমআর)
মন্তব্য করুন