১৫ কোটি টাকা লোকসানে চুক্তি করলো বিসিবি!
বিপিএলে ফ্র্যাঞ্চাইজি সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে বেড়েছে ম্যাচ সংখ্যাও। বাংলাদেশ ক্রিকেটের নতুন ইমেজের কারণে বিশ্বজুড়ে বেড়েছে সম্প্রচারও। এ বছর ভারতসহ ১২০টি দেশ থেকে দেখে যাচ্ছে সরাসরি। বিপিএলের পরিধি ও সম্প্রচার যেমন বেড়েছে, তেমনটি বেড়েছে এর বিপণন মূল্যও। প্রথম দিকের আসরগুলোতে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে দল পরিচলানার ক্ষেত্রে যেখানে প্রায় পুরো টাকাই লোকসান গুণতে হতো, এখন তাদের হাতেই অসংখ্য বড় বড় বিজ্ঞাপন। কিন্তু বিপিএলের সেই বর্ধিত বিপণন মূল্যের সুবিধেটা নিতে পারলো না বিসিবি। চ্যানেল নাইনের কাছ থেকে সম্প্রচার স্বত্ব চুক্তি ছিন্ন করে প্রায় ১৫ কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
প্রথম দুই বছর একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থার কাছ থেকে বিপিএলের সম্প্রচার স্বত্ব কিনে নিয়েছিল চ্যানেল নাইন। এরপর বিসিবির সঙ্গে তাদের চার বছরের চুক্তি হয়। মানে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বিসিবির সঙ্গে চ্যানেল নাইনের সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল। বিসিবির জন্য এই চুক্তিটা বেশ লাভজনক ছিল। কিন্তু চ্যানেল নাইনের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় দুই বছর আগেই চুক্তি ছিন্ন করে বিসিবি।
আগামী তিন বছরের জন্য বিসিবি নতুন করে চুক্তি করে ইম্প্রেস মাত্রা কনসর্টিয়ামের সঙ্গে। এটা একটা বিজ্ঞাপনী সংস্থা। এরা আবার সম্প্রচার স্বত্ব বিক্রি করে দেয় গাজী ও মাছরাঙা টেলিভিশনের কাছে।
মনে করা হয়েছিল নতুন চুক্তিতে আরো বেশি রাজস্ব আয়ের সংস্থান রয়েছে বিসিবির। এবং সেটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আগের চুক্তির চেয়ে বেশ কমে নতুন চুক্তি করে বসলো বিসিবি। জানা গেছে, আগামী তিন বছরে ইম্প্রেস মাত্র কনসর্টিয়াম কাছ থেকে ৮১ কোটি টাকা পাবে বিসিবি। মানে প্রতি বছর বিসিবির অ্যাকাউন্টে জমা পড়বে ২৭ কোটি টাকা। অথচ চ্যানেল নাইনের সঙ্গে চুক্তি থাকলে সামনের তিন বছরে আয় হতে পারত প্রায় ৯৬ কোটি টাকা।
পঞ্চম আসরে ২৯ কোটি ৪ লাখ টাকা, ৬ষ্ঠ আসরে ৩১ কোটি ৯৪ লাখ টাকা এবং ৭ম আসরে ৩৫ কোটি ১৩ লাখ টাকা চ্যানেল নাইনকে দিতে হতো চুক্তিমতে। বিসিবির এ লোকসানের চুক্তিতে অনেকেই বিস্মিত।
(ঢাকাটাইমস/১০নভেম্বর/ডিএইচ)