বইঃ আমার কথা
‘বিনিয়োগ’
সৈয়দ আবুল হোসেন বেশ কয়েকটি বই লিখেছেন। সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে ‘আমার কথা’। এই বইয়ে তিনি নিজের চিন্তা, কর্মকান্ড, মূল্যবোধ, নানা অভিজ্ঞতা ও পরিকল্পনা সম্পর্কে লিখেছেন। এটি পড়লে তাকে যারা পুরোপুরি চিনেন না তাদের সুবিধা হবে। বইটি ‘ঢাকাটাইমস২৪ডটকম’ ধারাবাহিকভাবে ছাপছে। বইটির আজকের পর্বে থাকছে- ‘বিনিয়োগ’
বহু বছর ধরে গোটা ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশ পোশাকশিল্পের পণ্যের জন্য স্থিতিশীলতার স্তম্ভ হিসাবে পরিচিত। এ খাতে বিনিয়োগের নিরাপদ গন্তব্যস্থল, আঞ্চলিক ব্যবসার কেন্দ্রবিন্দু এবং এক্ষেত্রে অর্থনীতির দ্বার হিসাবে বাংলাদেশকে বিবেচনা করা হয়। সম্প্রতি কিছু প্রশ্নের উদয় হয়েছে, পোষাকশিল্পে বিভিন্ন দুর্ঘটনাই তার জন্য দায়ী। এর পাশাপাশি এটা নিয়ে অনেক অপপ্রচারও হয়েছে। তবে হিসাব করে দেখা দরকার, আমরা বিদেশ থেকে আর্থনীতিকভাবে কী লাভবান হয়েছি। বিশেষ করে, আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলো থেকে।
দক্ষিণ এশিয়ায় সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ প্রবৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। ২০১০ খ্রিস্টাব্দে দেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে ৩০ শতাংশ। অন্যদিকে, ২০০৯ খ্রিস্টাব্দের তুলনায় ২০১০ খ্রিস্টাব্দে ভারত, পাকিস্তানসহ প্রতিবেশী অনেক দেশে এ প্রবৃদ্ধি ঋণাত্মক। আন্তর্জাতিকভাবে বৈদেশিক বিনিয়োগ প্রবাহের তালিকায় ১২০ থেকে ১১৪তম অবস্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। ২০১০ খ্রিস্টাব্দে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ হয়েছে ৯১৩ দশমিক ৩২ মিলিয়ন ডলার যা ২০০৯ খ্রিস্টাব্দের চেয়ে ২১৩ মিলিয়ন ডলার বেশি। তবে ২০০৮ খ্রিস্টাব্দের চেয়ে এ বিনিয়োগ ১৭৩ মিলিয়ন ডলার কম। ইউনাইটেড নেশনস কনফারেন্স অন ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আঙ্কটাড)-এর বিশ্ব-বিনিয়োগ প্রতিবেদনে এ তথ্য ফুটে উঠেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী বলা যায়, ২০১০ খ্রিস্টাব্দে বৈদেশিক বিনিয়োগে ভারতে ৩০ শতাংশ, আফগানিস্তানে ৫৮ শতাংশ, ভুটানে ২৫ শতাংশ, পাকিস্তানে ১৩ শতাংশ ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশে ৩০ শতাংশ এবং শ্রীলংকায় ১৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। আর্থনীতিক মন্দা সত্ত্বেও বাংলাদেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ প্রবৃদ্ধি অন্যান্য দেশের তুলনায় আশাব্যঞ্জক।
টাকার অঙ্কে ২০১০ খ্রিস্টাব্দে সবচেয়ে বেশি বৈদেশিক বিনিয়োগ এসেছে সিঙ্গাপুর থেকে এর পরিমাণ ৩১৭ দশমিক ১৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর পরে যুক্তরাজ্য ১০৫.৬৮, নেদারল্যান্ড ৬৪.৯২, হংকং-চীন ৬৩.৮৪, যুক্তরাষ্ট্র ৫৬.৯৫, ভারত ৪৩.১৯, দক্ষিণ কোরিয়া ৪০, নরওয়ে ৩৯.১৬, সংযুক্ত আরব আমিরাত ২৪.৫, জাপান ২১.৭৯, পাকিস্তান ১৮.৮৮ ও অস্ট্রেলিয়া ১৩.৯৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি বিদেশি বিনিয়োগ হয়েছে টেলিযোগাযোগ খাতে, যা প্রায় ৩৬০ মিলিয়ন ডলার। এছাড়া, টেক্সটাইল খাতে ১৪৫ দশমিক ১৯ মিলিয়ন ডলার, ব্যাংকিং খাতে ১৬৩ মিলিয়ন ডলার, বিদ্যুৎ-গ্যাস ও জ্বালানি খাতে ৯২ দশমিক ০৬ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হয়েছে। প্রতিবেদনে দেখা যায়, খাদ্য উৎপাদন খাতে বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে। ২০১০ খ্রিস্টাব্দে এ খাতে বিনিয়োগ হয়েছে ১২ দশমিক ৭৭ মিলিয়ন ডলার, ২০০৯ খ্রিস্টাব্দে ছিল ২৪ দশমিক ৫৪ মিলিয়ন ডলার। উল্লেখ্য, ২০০৯ খ্রিস্টাব্দে দেশে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ প্রবৃদ্ধি ঋণাত্মক (৩৫.৫৪ শতাংশ) ছিল। বিগত কয়েক বছরের তথ্য থেকে দেখা যায়, ২০০৮ খ্রিস্টাব্দে সর্বোচ্চ ১০৮৬ দশমিক ৩১ মিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক বিনিয়োগ এসেছিল বাংলাদেশে।
পোশাকশিল্পে বাংলাদেশ বিশ্ববাজারে ভালো অবস্থান করে নিয়েছে। এটা অনেকেই মেনে নিতে পারছে না বলে কিছু শত্রুও তৈরি হয়েছে। আর মাঝে মাঝে দুই-একটি দুর্ঘটনা ঘটলে তারা এর সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করে। আবার মাঝে মাঝে একটি শ্রেণি ইন্ধন দিয়ে দেশটাকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করে। এটা হলে অন্যান্য দেশগুলো বিশৃঙ্খল অবস্থার সুযোগ নিতে চায়। এ বিষয়ে দেশের গণমাধ্যমগুলোতে সরকার বিভিন্ন সময়ে কথা বলেছে, অবস্থা তুলে ধরেছে। সবচেয়ে বিরক্ত ও অসস্তিকর বিষয় যে, পোশাকশিল্পের শ্রমিকরা যে কারনে, অন্যের ইন্ধনে অচলাবস্থা তৈরি করে- তাদের সে দাবির পেছনে কোনো যৌক্তিক ও সুর্নিদিষ্ট কোনো প্রমাণ নেই। তবুও তারা অন্যের ইন্ধনে কাজ করে। এই ব্যাপারে সরকার সবসময় তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছে। যারা আমাদেরকে, সরকারকে পছন্দ করে তারা মনে করে সব ঠিক আছে। তবে আমদের শত্রুরা একে হীনস্বার্থে ব্যবহার করে নিজেরা লাভবান হয়।
বাংলাদেশে তৈরি পোশাকশিল্প খাত রপ্তানির সর্ববৃহৎ অংশ দখল করে রয়েছে। রপ্তানির ৭৮ শতাংশের বেশি বৈদেশিক মুদ্রা এ খাত থেকে আসছে। জিডিপির ১৭ শতাংশ তৈরি পোশাকশিল্প খাত এনে দিয়েছে। এর ফলে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। বস্ত্রখাতের তিনটি প্রধানতম উপখাত রয়েছে : স্পিনিং, উইভিং ও ডাইং; ফিনিশিং ও প্রিন্টিং খাত এবং তৈরি পোশাক খাত। দেশকে শিল্পবিপ্লবের দ্বারে পৌঁছে দিয়েছে দেশের তৈরি পোশাকশিল্প খাত। মাত্র ১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দ থেকে ৪ শতাংশ মোট রপ্তানি দিয়ে তৈরি পোশাকশিল্প তার যাত্রা শুরু করে। এখন মোট রপ্তানির ৭৮.৮৫ শতাংশ শুধু তৈরি পোশাকশিল্প খাত থেকে আসে।
বিটিএমএ-এর ২০১১ খ্রিস্টাব্দের বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী দেশে স্পিনিং মিল রয়েছে ৩৮৫টি- যার উৎপাদন ক্ষমতা ৮.৭ মিলিয়ন স্পিন্ডিল, ০.২৩ মিলিয়ন রোটর। উৎপাদিত হচ্ছে ২০৫০ মিলিয়ন কেজি। টেক্সটাইল উইভিং শিল্প রয়েছে ৭২১টি। এর মধ্যে ১,৭২৫টি সাটেললেস, ১,৩৫,০০টি সাটেল। উৎপাদন ক্ষমতা হচ্ছে ২৫০ মিলিয়ন মিটার বস্ত্র। বস্ত্রখাতে শুধু উইভিং মিল রয়েছে ৫৮৪টি, ডেনিস মিল রয়েছে ২০টি। হোম টেক্সটাইল ১৭টি, নিট কাপড় তৈরি মিল রয়েছে ২৩৩টি। অন্যদিকে ডাইং, প্রিন্টিং, ফিনিশিং মিল রয়েছে ২৩৩টি। ডাইং প্রিন্টিং মিলে উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে ২,২০০ মিলিয়ন মিটার।
বর্তমানে দেশে তৈরি পোশাকশিল্পের সংখ্যা ৫,১৫০টি। ১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দে মাত্র ১২টি শিল্পকারখানা নিয়ে এদেশে তৈরি পোশাকশিল্পের যাত্রা শুরু হয়। ১৯৮৩-৮৪ খ্রিস্টাব্দে তৈরি পোশাকশিল্পের সংখ্যা দাঁড়ায় ১৩৪টি। ৩৫ লাখ নর-নারী এখানে নিয়োজিত। তৈরি পোশাকশিল্পের আরেকটি দিক হচ্ছে নিটওয়্যার শিল্পখাত। দেশের ওভেন শিল্পের পাশাপাশি নিট শিল্প বেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে। বর্তমানে মোট নিটশিল্পের সংখ্যা হচ্ছে ১,৮২১টি। বিকেএমইএ বার্ষিক প্রতিবেদন ২০১১ অনুযায়ী এ খাত দেশের রপ্তানিতে ৪১.৩৬ শতাংশ অবদান রাখছে। অন্যদিকে ওভেন তৈরি পোশাকশিল্প খাত রপ্তানিতে অবদান রাখছে ৩৬.৭৮ শতাংশ। ২০১১ অর্থবছরে তৈরি পোশাকশিল্প খাতে মোট রপ্তানি হয়েছে ১৭ হাজার ৯১৪ দশমিক ৪৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ওভেন তৈরি পোশাক খাতে ২০১১ অর্থবছরে রপ্তানি হয় ৮৪৩২.৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। নিট খাতে রপ্তানি হয় ৯৪৮২.০৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এক্ষেত্রে নিট পোশাক ওভেন পোশাকের চেয়ে রফতানি বেশি করেছে।
ইপিবি সূত্র অনুযায়ী, ২০১০-১১ অর্থবছরে তৈরি পোশাকশিল্পে রপ্তানির দেশভিত্তিক চিত্র নিম্নরূপ : ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশে ১০৫২০.৫৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ইউএসএ ৪৬২৫.১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, জার্মানিতে রপ্তানি হয় ৩১৩০.৯৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ফ্রান্সে রপ্তানি হয় ১৪০৫.৬৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ইউকেতে ১৭৫৯.৮৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, স্পেনে ৮৪৯.৪১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, নেদারল্যান্ডসে ৯৬৫.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ইতালিতে ৭৬১.৯৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, কানাডায় ৮৯৪.৬৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, তুরস্কে ৫১৮.৩২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, অস্ট্রেলিয়ায় ১৯২.৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, জাপানে ২৪৭.৫১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ব্রাজিলে ৯৪.৬৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, রাশিয়া ফেডারেশনে ৫১.৮৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ও সাউথ আফ্রিকায় রপ্তানি হয় ৪৮.৪৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।বস্ত্রখাতের ওভেন, নিট ছাড়াও টেরিটাওয়াল আরও একটি উপখাত রয়েছে। এ খাতে শিল্পের সংখ্যা হচ্ছে ১০৫টি। এর অধিকাংশ শিল্পকারখানা চট্টগ্রাম ইপিজেডে অবস্থিত। কিছু শিল্পপ্রতিষ্ঠান ঢাকায় রয়েছে। ২০১১-১২ অর্থবছরে টেরিটাওয়াল রপ্তানি হয় ৮৪ লাখ ৫৩ হাজার ৮৪১ দশমিক ৮২ মার্কিন ডলার। শিল্পকারখানা বন্ধ রয়েছে ৪৮টি। ২০১০ খ্রিস্টাব্দে এ খাতের প্রবৃদ্ধি ছিল ৩২ শতাংশ।
প্রথমত, সবিনয়ে কিন্তু দৃঢ়ভাবে বলতে চাই- বাংলাদেশ এখনো প্রথম সারির দেশেরগুলোর একটি দেশ হতে পারিনি। তবে আমরা হতে চাইছি। জাতীয় আয়ের শতকরা হারে, আমরা বৈদেশিক সাহায্যের ক্ষেত্রে বিশ্বের প্রথম সারির দেশগুলোর একটি দেশ হতে আমাদের আরও সময় লাগবে। তবে এখন অনেক আশা আছে। দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। আমরা সাময়িক উন্নয়নকে বাদ দিয়ে দীর্ঘমেয়াদি এবং টেকসই উন্নয়নকে আদর্শ হিসেবে নিয়েছি, যা আঞ্চলিক উত্তেজনা দূর করতে সহায়তা করবে। হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, শিখ প্রভৃতি ধর্মাবলম্বী ছাড়াও আমাদের দেশে ২৭টির অধিক জাতির লোক বসবাস করে। তারা সকলে কাজ করছে, বিনিয়োগ করছে এবং তারা তাদের সর্বোচ্চটাই দেওয়ার চেষ্টা করে। প্রতিবছর সারা পৃথিবী থেকে ২ লক্ষ ৫০ হাজার লোক আমাদের দেশে ভ্রমণ করতে আসে।
আমাদের এখানে গ্যাসের জন্য বড় বড় কোম্পানি আসতে পারে। রিয়েল এস্টেট কোম্পানিগুলো বিনিয়োগ করতে চায়। অন্যান্য ক্ষেত্রে বহু বিনিয়োগ করা হয়। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত যে পরিমাণ বিনিয়োগ হয়েছে, বিনিয়োগকৃত অর্থের খুব অল্প অংশই উঠে এসেছে। যারা বলে থাকে, আঞ্চলিক অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশ লাভবান হয়েছে তাদের উদ্দেশ্যে জোর-গলায় বলতে চাই, বাংলাদেশে রাজনীতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকলে এটা দ্বিগুণ ও তিনগুণ বেশি লাভবান হতো, যদি এ অঞ্চলে স্থিতিশীলতা এবং শান্তি বিরাজ করত।
বাংলাদেশের নিরবচ্ছিন্ন উন্নয়নের দরকার সমজোতা, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার পূর্বশর্ত সমজোতা। এ সমজোতা হবে জনগণের সাথে জনগণের। ব্যক্তির সাথে ব্যক্তির। সমাজপতি, দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও গুণীজনদের মধ্যেও সমজোতা প্রয়োজন। বিশেষ করে, বর্তমান প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমজোতা হওয়া খুবই জরুরী। অন্যথায়, আমাদের মধ্যকার অনৈক্য জাতি হিসেবে আমাদের বিশ্বের কাছে ছোট করবে, আমাদের ধ্বংস করে দেবে। প্রবাদ আছে, যে রাজ্যে রাজা ও প্রজার মধ্যে সমজোতা রয়েছে- সেটাই স্বর্গরাজ্য। এ লক্ষ্যে দল-মত-নির্বিশেষে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। রাজনীতিক দলগুলোর মধ্যে ব্যবধান কমিয়ে আনতে হবে। গণতন্ত্রকে সুসংহত করে রাজনীতিক স্থিতিশীলতা আনয়ন করা সম্ভব। রাজনীতিক স্থিতিশীলতা বিনিয়োগ বাড়াবে এবং দেশের সামগ্রিক আর্থনীতিক কল্যাণে অবদান রাখবে।
আগামীকাল কাল থাকছে - “সৃজনশীলতা”
আরও পড়ুন - ‘বাংলার বসন্ত’, ‘সময়, শ্রম ও অধ্যবসায়’ ‘আমার আদর্শ আমার নায়ক’ , ‘ধৈর্য পরীক্ষা’, ‘খেলাধুলা ও বাংলাদেশ’ ‘অধ্যয়ন, লেখালেখি ও নেতৃত্ব’ ‘নারীর ক্ষমতায়ন ও বাংলাদেশ’, ‘সাফল্যের স্বর্ণদ্বার’ , ‘ঐক্যবদ্ধ শক্তি সাফল্যের মেরুদণ্ড’ ‘পদ্মা সেতু’, `বিজয়চিহ্ন 'V' প্রকাশে ভিন্নতা', ‘উন্নয়ন ও অগ্রাধিকার’ , ‘ইতিবাচক ভাবনা সাফল্যের চাবিকাঠি’ , ‘ভবিষ্যতের সরকার কেমন হবে’ ‘মাতৃভাষার প্রতি মমতা’, ‘সুখ ও শান্তি : আমাদের করণীয়’ , ‘নেতৃত্বের শক্তি’, ‘আদর্শ জীবন গঠনে মূল্যবোধ’, ‘আমার প্রাত্যহিক জীবন’, 'আমার অনুভব'।মন্তব্য করুন