ইরি-বোরো চাষাবাদে ব্যস্ত নন্দীগ্রামের নারী কৃষকরা

মুনিরুজ্জামান মুনির, নন্দীগ্রাম (বগুড়া)
| আপডেট : ২৮ জানুয়ারি ২০১৭, ১৫:৪৮ | প্রকাশিত : ২৭ জানুয়ারি ২০১৭, ১০:৫০

বগুড়ার নন্দীগ্রামের কৃষাণ-কৃষাণীরা এখন ইরি-বোরো চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন। উত্তরাঞ্চল তথা বগুড়া জেলার মধ্য ধান উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত নন্দীগ্রাম উপজেলা। এই উপজেলায় বছরে তিন বার ধানের চাষাবাদ হয়। তাই নন্দীগ্রাম উপজেলাকে ‘শস্য ভাণ্ডার’ হিসেবে গণ্য করা হয়।

ইরি-বোরো ধান চাষ লাভজনক। তাই কৃষকরা ইরি-বোরো ধান চাষাবাদ শুরু করেছেন। উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার বিভিন্ন মাঠে ইতিমধ্যে ইরি-বোরো ধানের চারা রোপনের কাজ পুরো দমে শুরু হয়ে গেছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে নন্দীগ্রাম উপজেলায় ২০ হাজার ৪৬৭ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা থেকে এক লাখ ১৯ হাজার ১৯৯ মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। আবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি ধান উৎপাদন হতে পারে।

ইরি-বোরো ধান চাষ সবচেয়ে ব্যায়বহুল হলেও নন্দীগ্রাম উপজেলার কৃষকরা অতন্ত গুরুত্বের সাথে ইরি-বোরো ধান চাষবাদ করে আসছেন। হিমেল হাওয়া ও শীত উপেক্ষা করে জীবিকার তাগিদে হাতে ইরি-বোরো ধানের চারা নিয়ে মাঠে কাজ করছেন পুরুষ ও ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর নারী শ্রমিকরা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুশিদুল হক জানান, বিগত দিনে এই উপজেলায় ইরি-বোরো, আউশ ও আমন ধানে বাম্পার ফলন হয়েছে। এবারও ইরি-বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে এমন লক্ষ্য নিয়ে আমরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করেছি। তাই সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টায় এবারও ধানের বাম্পার ফলন হবে ইনশাল্লাহ।

তিনি বলেন, কৃষকদের সার-কীটনাশকের চাহিদা পূরণের জন্য পযাপ্ত পরিমাণ সার-কীটনাশকের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যার কারণে সার-কীটনাশকের সঙ্কটের কোন সম্ভাবনা নেই এই উপজেলায়।

কৃষক আ. হাকিম, আবু হানিফ, রেজাউল করিম জানান, বিদ্যুতের ভেলকিবাজি খেলা কিংবা ঘন-ঘন লোডশেডিং যদি না থাকে- তাহলে আশানুরূপ ফলন উৎপাদন করা সম্ভব।

(ঢাকাটাইমস/২৭জানুয়ারি/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :