কুমিল্লায় সেনা নয়, ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ম্যাজিস্ট্রেট চান সাক্কু

বোরহান উদ্দিন, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৫ মার্চ ২০১৭, ১২:১৬ | প্রকাশিত : ০৫ মার্চ ২০১৭, ০৮:১৪

যেকোনো স্থানীয় সরকার নির্বাচনেই সেনাবাহিনী মোতায়েন এক সাধারণ দাবি বিএনপির। বিএনপির নির্বাচনী প্রচার আর সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি চলে একসাথেই। তবে এই দিক থেকে ব্যতিক্রম কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু। আগামী ৩০ মার্চের ভোট সামনে রেখে সেনাবাহিনী চাইছেন না তিনি। তিনি চান ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে একজন ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করুক।

৩০ মার্চকে ভোটের দিন ধরে আলোচিত এই নির্বাচনে আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু হতে আরও ১০ দিন লেগে যাবে। তবে অনানুষ্ঠানিক জনসংযোগ এরই মধ্যে শুরু করে দিয়েছেন দুই দলের কর্মী-সমর্থকরা।

এই নির্বাচনে দুই দলের প্রার্থী ঘোষণার পর মেয়র পদে দুই প্রধান দলের প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু, আঞ্জুম সুলতানা সীমা ছাড়াও জাসদের (একাংশ) শিরিন আক্তার, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক পার্টির (পিডিপি) সোয়েবুর রহমান এবং স্বতন্ত্র মেজর (অব.) মামুনুর রশিদও প্রার্থিতা জমা দিয়েছেন। যাচাই-বাছাই এবং ১৪ মার্চ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময় শেষে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে এবং এরপর শুরু হবে আনুষ্ঠানিক প্রচার।

২০১২ সালে সীমার বাবা আফজাল খানকে সহজেই হারিয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়র হয়েছিলেন সাক্কু। গত পাঁচ বছরে দেশের বিভিন্ন শহরে বিএনপি দলীয় মেয়ররা নাশকতার মামলার কারণে দায়িত্ব পালনে বাধার মুখে পড়লেও কুমিল্লায় সাক্কু ছিলেন ব্যতিক্রম। তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন নির্বিঘ্নেই। আর মেয়াদ শেষে দায়িত্ব হস্তান্তরও করেছেন।

সদ্য সমাপ্ত নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার আগেই বিএনপির প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খান সেনাবাহিনী চেয়েছিলেন। কেন্দ্রীয়ভাবে বিএনপি এই দাবি জানাতে থাকে ২২ ডিসেম্বর ভোটের আগের দিন পর্যন্ত।

তবে কুমিল্লায় বিএনপির প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কুর সেনাবাহিনী নিয়ে আপাতত কোনো চিন্তা নেই। ঢাকাটাইমসকে তিনি বলেন, ‘আমরা আগে পরিবেশ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করব। তারপর সেনা মোতায়েনের দাবির বিষয়টি চিন্তা করব। তবে আমরা প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট চাই। এটি আমাদের দাবি।’

নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে কতটুকু আশাবাদী জানতে চাইলে বিএনপির প্রার্থী বলেন, ‘গত নির্বাচনে দল অংশ নেয়নি তাই আমাকে স্বতন্ত্রভাবে লড়তে হয়েছে। এবার দলীয়ভাবে নির্বাচন করছি। এটা আমার জন্য আরো সুবিধা তৈরি করবে। সবাই আমার সঙ্গে রয়েছে। আমাদের মাঝে কোনো বিভেদ নেই।’

সদ্য সাবেক মেয়র বলেন, ‘আমি গত পাঁচ বছরে ৫০০ কোটি টাকার উন্নয়নকাজ করেছি। শতভাগ কাজ করতে পেরেছি সেটা বলব না, তবে আমি ৭০ কাজ আমি করেছি। আগামী নির্বাচনে ভোটাররাই আমার কাজের মূল্যায়ন করবেন। আমি অসম্পূর্ণ কাজ শেষ করার সুযোগ চাই।’

সাক্কু বলেন, ‘আমি কোনো সাজানো সিটি করপোরেশনে মেয়র হয়ে আসিনি। সম্পূর্ণ নতুন একটি সিটি করপোরেশনে এসে অনেক কাজ করতে হয়েছে আমাকে। তবে আমি আশাবাদী সামনের নির্বাচনেও কুমিল্লার মানুষ ধানের শীষের পক্ষে রায় দেবে।’

নির্বাচনে পাঁচজন মনোনয়নপত্র জমা দিলেও সাক্কুর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমা। তিনি সিটি করপোরেশন এবং সাবেক কুমিল্লা পৌরসভায় একাধিকবার কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন।

আওয়ামী লীগ আশা করছে, দেশের রাজনীতিতে তাদের আপাতদৃষ্টিতে শক্তিশালী অবস্থানের পাশাপাশি নারীদের ভোটে নির্বাচনী বৈতরণী পার হবেন সীমা।

প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীর প্রতি কোনো ধরনের বিরূপ ধারণা নেই বিএনপি নেতা সাক্কুর। তিনি বলেন, ‘তাকে (সীমা) আমি ছোট বোনের মতো দেখি। তিনি আমার পরিষদে কাউন্সিলর ছিলেন। তিনি অনেক ভদ্র মেয়ে। কেউ আমার বিরুদ্ধে বললেও আমি তার বিরুদ্ধে কিছু বলব না। তার দল তাকে মনোনয়ন দিয়েছে। তিনি বিজয়ী হতে চাইবেন, আমিও বিজয়ী হতে চাইব। জনগণ যাকে ভোট দেবে তিনি জয়ী হবেন। আমরা সেটা মেনে নেব।’

(ঢাকাটাইমস/০৫মার্চ/বিইউ/ডব্লিউবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :