কোন দিকে মোড় নিচ্ছে ইরান-ইসরায়েল সংকট
![](/assets/news_photos/2024/04/20/image-350597.jpg)
বেশ কিছুদিন ধরেই মধ্যপ্রাচ্যের দুই পরমাণু শক্তিধর দেশ ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। সম্প্রতি সিরিয়ায় ইরানি কনস্যুলেটে হামলার জেরে ইসরায়েলে হামলা চালায় ইরান। এরপর শুক্রবার পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে ইরানে। এই হামলা কারা করেছে সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু বলছে না ইরান ও ইসরায়েল। তবে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, ইসরায়েল হামলা চালিয়েছে— যাতে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো হাত নেই। এমন পরিস্থিতিতে কোন দিকে মোড় নিচ্ছে ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্ব, তা নিয়ে উদ্বেগের শেষ নেই বিশ্বনেতাদের।
চলতি মাসের শুরুর দিন সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ইরানের বিপ্লবী গার্ডের দুই কমান্ডারসহ ৭ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নিহত হন। এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় গত শনিবার ইসরায়েলে তিন শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায় ইরান। হামলায় ইরানের হাইপারসনিক ক্ষেপনাস্ত্রগুলো ইসরায়েলের দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দরে আঘাত হানতে সক্ষম হয়। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা মিত্রদের সহায়তা থাকার পরও ইরানের এই হামলা ঠেকাতে ইসরায়েলের ১০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি খরচ হয়। এরপরই মূলত মধ্যপ্রাচ্যে আরও একটি যুদ্ধের জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়।
ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলার জবাব হিসেবে ইরান কেবল সক্ষমতার জানান দিলেও নেতানিয়াহুর আগ্রাসী মনোভাব ও যুদ্ধকালীন মন্ত্রীসভার বিরোধী সদস্যের চাপ ইসরায়েলকে পাল্টা হামলায় উস্কানি দেয়। যে কারণে বিশ্বব্যাপী বড় একটি যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি হয়। এক্ষেত্রে ইসরায়েলের প্রধান মিত্রদেশ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মান, জাপানসহ গোটা ইউরোপীয় ইউনিয়ন নেতানিয়াহুকে সংযমী হওয়ার আহ্বান জানায়।
এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ফোন করে নেতানিয়াহুকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়ে সতর্কও করেন। ইরানে বড় পরিসরে পাল্টা হামলা করলে হামাস-ফিলিস্তিন ইস্যুতে ইসরায়েলকে সহযোগিতা বন্ধেরও হুমকি দেন বাইডেন।
অন্যদিকে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রীসভা ইরানে পাল্টা হামলার অনুমোদন দেয়। মন্ত্রীসভার জরুরি বৈঠকে যুদ্ধকালীন সরকারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতা ইয়োভ গ্যালান্ট নেতানিয়াহুর কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি ইরানের বিরুদ্ধে দ্রুত জোরালো পদক্ষেপের দাবি তোলেন।
এছাড়াও মন্ত্রীসভার আরও একাধিক সদস্য ইরানকে পাল্টা জবাব দেওয়ার তীব্র দাবি জানান। ফলে নিজ দেশে উভয় সংকটে পড়েন নেতানিয়াহু।
এরইমধ্যে শুক্রবার সকালে ইরানের ইস্ফাহান শহরে ড্রোন হামলা চালায় ইসরায়েল। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো পর্যন্ত হামলার কথা স্বীকার করেনি দেশটি। ইরান সরকারও ইসরায়েলের হামলার তথ্য অস্বীকার করছে। ইরানের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসি শুক্রবার দুপুরে দেশটির কেন্দ্রীয় প্রদেশ সেমনানের দামঘান সফর করেছেন। সফরকালে দামঘানে দেওয়া বক্তব্যে ইস্ফাহানে হামলার বিষয়ে কোনো বক্তব্য দেননি।
বিপরীতে ইতোমধ্যেই ফিলিস্তিনে নেতানিয়াহু সরকারের তীব্র আগ্রাসন দিন দিন বৈশ্বিক সমর্থন হারানোর মুখে পড়েছে। অন্যদিকে নিজ দেশেও হামাসকে পরাস্ত করা এবং যুদ্ধ বন্ধিদের মুক্ত করতে ব্যর্থ হওয়ায় সাধারণ জনগণের বিক্ষোভের মুখেও পড়েছে নেতানিয়াহু সরকার। দেশটির প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও চলছে সম্পর্কের টানাপোড়েন। চতুর্দিক থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতির চাপ বাড়ছে দেশটির ওপর।
সম্প্রতি জাতিসংঘে তোলা যুদ্ধবিরতির এক প্রস্তাবে প্রথমবারের মতো ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ থেকে বিরত থাকে যুক্তরাষ্ট্র। যা ছিল ইতিহাসে যুক্তরাষ্ট্রের এমন প্রথম নীরব পদক্ষেপ যেটি ইসরায়েলের বিপক্ষে যায়। এমতাবস্থায় আন্তর্জাতিক দৃষ্টি ভিন্নদিকে ঘোরাতে সিরিয়ায় ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালায় ইসরায়েল। এর বিপরীতে ইরানের পাল্টা হামলা অনুমিতই ছিল। যদিও পশ্চিমারা ইরানকে থামাতে সর্বাত্বক প্রচেষ্টা চালায়। ইরানের সঙ্গে কয়েক যুগ ধরে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক না থাকা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র সরকার তুরস্কের মধ্যস্ততায় ইরানের সঙ্গে যোগাযোগ করে। ইরান পশ্চিমাদের আহ্বান পুরোপুরি এড়িয়ে গেলেও সক্ষমতা জানান দেওয়ার মতো হামলা করবে বলে আগেই পশ্চিমাদের জানিয়ে রাখে। এর প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা মিত্ররা ইরানের কঠোর নিন্দা করলেও ইসরায়েলকে পুনরায় যুদ্ধে জড়াতে নিষেধ করে। কিন্তু নেতানিয়াহু সরকার খুব সম্ভবত অভ্যন্তরীণ চাপে পড়ে মুখ রক্ষার জন্য ইরানে কথিত হামলা চালাল; এমনটাই ধারণা বিশ্লেষকদের। যে কারণে আনুষ্ঠানিকভাবে হামলার কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করছে না কোনো পক্ষই। কেবলামাত্র অজ্ঞাত মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাতে মার্কিন গণমাধ্যম এবিসি নিউজ, সিএনএন ও বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইসরায়েল ইরানে হামলা চালিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসরায়েলি ও আমেরিকান কর্মকর্তারা মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন যে, ইসরায়েল হামলা চালিয়েছে। প্রভাবশালী মার্কিন গণমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস বলেছে, তিনটি ইরানি সূত্র নিশ্চিত করেছে যে— ইস্ফাহানের একটি সামরিক বিমান ঘাঁটিতে হামলা হয়েছে। যদিও ইরানি কর্তৃপক্ষ একাধিক বক্তব্যে ইসরায়েলের হামলার বিষয়টি এড়িয়ে গেছে। ইরানের সেনাবাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল সাইয়্যেদ আব্দুর রহিম মুসাভি বলেছেন, ‘ইস্ফাহানে বিস্ফোরণের যে শব্দ শোনা গেছে তা ছিল সন্দেহজনক উড়ন্ত বস্তুকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর শব্দ। আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় হয়ে গুলি ছোঁড়ার কারণে এই শব্দ শোনা গেছে এবং এ ঘটনায় কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।’ নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে ইরানি আরেক কর্মকর্তা বলেন, ‘এই ঘটনাটি বিদেশি কোনো উৎস থেকে হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আমরা বাইরে থেকে কোনো আক্রমণের সম্মুখীন হইনি এবং চলমান আলোচনা হামলার চেয়ে অনুপ্রবেশের দিকেই বেশি ঝুঁকছে।’
ইরানি এক বিশ্লেষক দেশটির রাষ্ট্রীয় প্রেস টিভিকে বলেন, ‘ইস্ফাহানে বিমান প্রতিরক্ষা দিয়ে যে মিনি ড্রোনগুলোকে গুলি করা হয়েছিলো, সেগুলো ইরানের ভেতর থেকেই অনুপ্রবেশকারীরা উড়িয়েছে।’ ইস্ফাহানের স্থানীয় সেনা কমান্ডার জেনারেল সিয়াভোশ মিহানদুস্ত রাষ্ট্রীয় টিভিকে বলেছেন, ‘এই ঘটনায় ইস্ফাহানের আশেপাশে কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।’
তবে সর্বশেষ গতকাল স্থানীয় সময় বিকালে ইতালির ক্যাপ্রিয় দ্বীপে পশ্চিমা নেতৃত্বাধীন জি-সেভেন জোটের বার্ষিক বৈঠকের ফাঁকে সাইডলাইনে আলাদা বৈঠবে মিলিত হন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, কানাডা, জার্মানি, জাপান ও যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। বৈঠক শেষে ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তোনিও তাজানি জানান, ইসরায়েল ইরানে হামলার ব্যাপারে শেষ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র এই হামলায় অংশ নেয়নি। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রকাশ্যে এ বিষয়ে কথা না বললেও এই হামলায় যুক্তরাষ্ট্র অংশ নেয়নি বলে জানিয়েছেন।
তবে ইসরায়েল ছোট পরিসরে হামলা করেছে সতর্ক বার্তা হিসেবে। যে কারণে তারা পাল্টা প্রতিক্রিয়া হবে না বলেই ধরে নিয়েছে বলে দেশটির সামরিক কর্মকর্তাদের বরাতে জানিয়েছে ফক্স নিউজ। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো এটাও জানিয়েছে যে, ইসরায়েল আগেই নিশ্চত করেছে তারা ইরানের কোনো পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা করবে না।
স্পষ্টতই ইরানে এই হামলার বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিব্রত বলেই মনে হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের প্রধান প্রক্সি যুদ্ধবাজ ইসরায়েল এখন যুক্তরাষ্ট্রের মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গাজা যুদ্ধ নিয়ে বৈশ্বিক চাপের মুখে আরও একটি আঞ্চলিক যুদ্ধ বেঁধে যাওয়ার আশঙ্কায় প্রতিনিয়তই ঘাম ঝরাতে হচ্ছে পশ্চিমাদের। একদিকে ইউক্রেন যুদ্ধ, অতিতে আফগানিস্তানে মার্কিনিদের পরাস্ত হওয়া ও গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলের পাশে থাকতে গিয়ে আর্থিক সংকটের মুখে নিজ দেশে প্রতিবাদের মুখে পড়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তাছাড়া মধ্যপ্রাচ্যে একমাত্র পরমাণু শক্তিধর মুসলিম দেশ ইরানের সামরিক সক্ষমতা নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে পশ্চিমাদের। যে কারণে কেউই চাইছে না আরও একটি যুদ্ধ বেঁধে যাক। কিন্তু পশ্চিমা মদদপুষ্ট নেতানিয়াহুর যুদ্ধাংদেহী সরকার কোনো কিছুই তোয়াক্কা করছে না। এ নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতেই পড়েছেন পশ্চিমা কর্তারা।
এ ঘটনায় বিব্রত নেতানিয়াহু সরকারও। দেশটির যুদ্ধকালীন মন্ত্রীসভার এক সদস্যের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া ছোট্ট একটি টুইটের জেরে সমালোচনা শুরু হয়েছে। নেতানিয়াহুর ক্ষমতাসীন জোট সরকারের অন্যতম সদস্য বেন গির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘স্কেয়ারক্রো’ (কাকতাড়ুয়া) লিখে পোস্ট করেন। ‘স্কেয়ারক্রো’ হিব্রু ভাষার একটি গালি। যার উদ্দেশ্য ইরানে হামলার নেপথ্যে ইসরায়েল থাকলেও এটি একটি ‘দুর্বল’ পদক্ষেপ। এ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল সম্পর্ক ও ইসরায়েল স্টাডিজ বিষয়ক গবেষক, ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার অধ্যাপক শাইএল বেন-এফরাইম বলেন, বেন গির ইসরায়েলি অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন এবং একইসঙ্গে একে হাস্যকর বানিয়েছেন। বিরোধী দলের নেতা ইয়ার লাপিদ এক্সে দেওয়া এর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘এর আগে কখনো কোনো মন্ত্রী দেশের নিরাপত্তা, ভাবমূর্তি ও আন্তর্জাতিক মহলে অবস্থানের এতো বড় ক্ষতি করতে সক্ষম হননি।’
অর্থাৎ নেতানিয়াহু সরকার অভ্যন্তরীণ চাপে মুখ রক্ষার ইরানে ছোট পরিসরে হামলা চালালেও আর্ন্তজাতিক চাপের মুখে কৌশলগত কারণে তা প্রকাশ্যে স্বীকার করতে রাজি নয়। যার ফলে বেন গিরের মন্তব্য দেশটির কৌশল ফাঁস করে দেওয়ার নামান্তর হওয়ায় দেশজুড়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে।
দেশটির বিখ্যাত গণমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল বলছে, ‘এমন ইঙ্গিতও পাওয়া গেছে যে, ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী আন্তর্জাতিক চাপের মুখে তাদের আক্রমণ পরিকল্পনা সংযত করেছে। জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন গির একজন কট্টরপন্থী নেতা, যিনি তেল আবিবে হামলার পর জরুরি বৈঠকে ইরানের বিরুদ্ধে বিস্তৃত পরিসরে সামরিক পদক্ষেপের জন্য চাপ দিয়েছিলেন। যে কারণে এই হামলা মনঃপূত না হওয়ায় তিনি এটাকে ‘খোঁড়া’ (দুর্বল) আখ্যা দিয়ে পরিহাস করেছেন।’
ইরান এই হামলার দায়ে সরাসরি ইসরায়েলকে আক্রমণ না করাকে যুদ্ধ আর না বাড়ানোর ইঙ্গি বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ জানিয়েছেন, রুশ কর্তৃপক্ষ ইসরায়েল ও ইরানের সঙ্গে আলাপ করেছে। তারা ইসরায়েলকে জানিয়েছে যে, ইরান এর প্রতিক্রিয়ায় পাল্টা আক্রমণ করবে না। অর্থাৎ প্রকাশ্যে হামলার কথা স্বীকার না করলেও আন্তর্জাতিক পরাশক্তির চাপের মুখে উভয় পক্ষ বাড়াবাড়ি না করার ব্যাপারে সংযম প্রদর্শন করছেন। এমনটাই উঠে আসছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমের বিশ্লেষণে। ইরানের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাও বলেছেন, ‘ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এখনই প্রতিশোধ নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই ইরানের।’ তেমন ক্ষয়ক্ষতি না হলেও ইস্ফাহানে গতকালের হামলায় বিশ্বব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্ব শক্তিগুলো এ ঘটনায় তৎপর হয়েছে। ইতালিতে জি সেভেনভুক্ত সাত দেশ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মান, জাপান ও ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বার্ষিকৈ বৈঠকের ফাঁকে এ বিষয়ে আলাদা বৈঠক করেছে। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে ইতালির পরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমরা সব পক্ষকে সংযত হওয়ার আহ্বান জানাই। মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা না বাড়াতে জি সেভেন কাজ করবে।’ আপাতদৃষ্টে ইরান সংযম প্রদর্শন করলেও পরবর্তী প্রতিক্রিয়া কী হয় সেদিকেই দৃষ্টি বিশ্ব নেতাদের। ইরানের প্রতিক্রিয়ার ওপরই নির্ভর করবে এই সংকট শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়।
(ঢাকাটাইমস/২০এপ্রিল/এসআইএস)
সংবাদটি শেয়ার করুন
বিশেষ প্রতিবেদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
বিশেষ প্রতিবেদন এর সর্বশেষ
![](/cache-images/news_photos/2024/07/03/resize-90x60x0image-358347.jpg)
বেড়ার মেয়র আসিফ ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি, দেশ ছাড়লেন কীভাবে? কৌতূহল সর্বত্র
![](/cache-images/news_photos/2024/07/02/resize-90x60x0image-358194.jpg)
শিক্ষকদের পেনশনের টেনসনে স্থবির উচ্চশিক্ষা
![](/cache-images/news_photos/2024/07/01/resize-90x60x0image-358165.jpg)
কেরাণীগঞ্জে দেড় কোটি টাকার নিষিদ্ধ ব্রাহমা গরুর সন্ধান
![](/cache-images/news_photos/2024/06/30/resize-90x60x0image-357958.jpg)
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি চালুর উদ্যোগ কতটা গ্রহণযোগ্য? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা
![](/cache-images/news_photos/2024/06/28/resize-90x60x0image-357767.jpg)
সর্বজনীন পেনশনে অনীহা কেন, যা বলছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকনেতারা
![](/cache-images/news_photos/2024/06/28/resize-90x60x0image-357765.jpg)
সাদিক অ্যাগ্রোর সবই ছিল চটক
![](/cache-images/news_photos/2024/06/26/resize-90x60x0image-357537-1719373181.jpg)
ঢাকা মহানগর বিএনপি ও যুবদলের কমিটি দিতে ধীরগতি যে কারণে
![](/cache-images/news_photos/2024/06/25/resize-90x60x0image-357433.jpg)
রাসেলস ভাইপার আতঙ্ক: উপজেলা হাসপাতালগুলোতে নেই চিকিৎসা সক্ষমতা
![](/cache-images/news_photos/2024/06/22/resize-90x60x0image-357190.jpg)
মাগুরায় বাড়ি-জমি উত্তম কুমারের: কোথাও খোঁজ নেই তার, দুদকের অনুসন্ধান সম্পন্ন
![](/cache-images/news_photos/2024/06/21/resize-90x60x0image-357067.jpg)