দিনাজপুরে বেড়াতে আসা ভারতীয়র মৃত্যু; লাশ নেয়নি দেশটির পুলিশ
দিনাজপুরের বিরলে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে আসা এক ভারতীয় নারী মারা গেছে। ৫৮ বছর বয়সী এই নারীর নাম আশরাফুল বেগম। তার মরদেহ ভারত পাঠানোর চেষ্টা হলেও আইনি জটিলতার কারণ দেখিয়ে সে দেশের পুলিশ তা ফিরিয়ে দিয়েছে।
আশরাফুল বেগম বাংলাদেশে এসেছিলেন বৈধ পথেই। গত ৭ ফেব্রুয়ারি ভারতের রাধিকাপুর হয়ে বিরল চেকপোস্ট দিয়ে তিনি বাংলাদেশে আসেন। তার পাসপোর্ট নং পি-৪৭৫০৩১। তখন থেকেই তিনি তার স্বজন বিরল উপজেলার ভান্ডারা মহাজনপাড়া গ্রামের পল্লী চিকিৎসক আবুল কাশেমের বাড়িতে থাকছিলেন। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি ওই বাড়িতেই মারা যান। ওই দিনই বিরল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়, যার নম্বর ৩৯০।
শুক্রবার বিকালে বাংলাদেশের কিশোরীগঞ্জ সীমান্তের চকশংকর এলাকা দিয়ে আশরাফুল বেগমের মরদেহ ভারতে পাঠানোর চেষ্টা করেন তার স্বজনরা। সীমান্তের অপর পারে ভারতের রাধিকাপুর এলাকা। কিন্তু নো-ম্যানস ল্যান্ড থেকে মরদেহটি ফিরিয়ে দেয় ভারতীয় পুলিশ।
দিনাজপুরের বিরল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল মজিদ জানান, আশরাফুল বেগমের সুরতহাল, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন এবং বাংলাদেশে ভারতীয় হাই কমিশনারের এনওসি (নো অবজেকশন সার্টিফিটেক বা অনাপত্তিপত্র) চেয়েছে ভারতীয় পুলিশ।
এরপর শনিবার আশরাফুল বেগমের মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়না তদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। সেখানকার ফ্রিজেই সংরক্ষণ করা হয়েছে আশরাফুল বেগমের মরদেহ।
আশরাফুল বেগমের মৃত্যুর কারণ অসুস্থতা বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরেই এই নারী শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।
আশরাফুল বেগম ভারতের উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ থানার পালিগাঁও ফরিদপুর গ্রামের কুরবান আলীর স্ত্রী।
ঢাকাটাইমস/১২মার্চ/প্রতিনিধি/ডব্লিউবি