বাগেরহাটে দুঃস্থদের ভাতা আত্মসাতে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা

অনলাইন ডেস্ক
 | প্রকাশিত : ২৬ মার্চ ২০১৭, ১৭:৩০

বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধীদের ভাতার টাকা বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে বাগেরহাট সদর উপজেলার গোটাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ শমসের আলীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছে সমাজসেবা অধিদপ্তর।

শনিবার রাতে বাগেরহাট সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপজেলা কর্মকর্তা আবুল মোকাররম মো. ফজলে এলাহী বাদী হয়ে বাগেরহাট মডেল থানায় মামলাটি করেন।

জেলা প্রশাসনের সুপারিশের চার দিন পর এই মামলা করল সমাজসেবা বিভাগ। মামলাটি দুদক তফসিলভুক্ত হওয়ায় পুলিশ তা নথিভুক্ত করে (রেকর্ড) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদকের) খুলনা জেলা সমন্বিত কার্যালয়ে পাঠিয়েছে।

গত ১৯ মার্চ বাগেরহাট সদর উপজেলার গোটাপাড়া ইউনয়নের ৯৭৭ জন বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধীর মাঝে ভাতার টাকা বিতরণে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা ঘুষ নেয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এর দুই দিন পর জরুরি সভা করে চেয়ারম্যান শেখ শমসের আলী ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান শেখ শহিদুল ইসলামকে তিন মাসের জন্য ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দিয়ে ছুটিতে যান।

অন্যদিকে প্রশাসনের তদন্তে ইউপি চেয়ারম্যান শেখ শমসের আলীর সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মেলায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয় স্থানীয় প্রশাসন। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা এখনো জানা যায়নি।

তবে চেয়ারম্যান শেখ শমসের আলী শুরু থেকেই ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।

মামলার বরাত দিয়ে বাগেরহাট মডেল থানার দ্বিতীয় কর্মকর্তা (সেকেন্ড অফিসার) উপপরিদর্শক মো. এনায়েত হোসেন বিকালে এই প্রতিবেদককে বলেন, শেখ শমসের আলীর বিরুদ্ধে অসহায় দুঃস্থ বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধীদের নায্য প্রাপ্য নিয়ে প্রতারণা করা এবং জনগণের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হয়ে সরকারের দেয়া বরাদ্দের টাকা বিতরণ না করে তা আত্মসাৎ করার অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলাটি ৪২০ ও ৪০৯ দ-বিধিতে হয়েছে।

উপপরিদর্শক এনায়েত হোসেন বলেন, ‘মামলাটি দুদকের তফসিলভুক্ত হওয়ায় পুলিশের ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ নেই। তাই আমরা মামলাটি নথিভুক্ত করে তা তদন্ত করতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদকের) খুলনা জেলা সমন্বিত কার্যালয়ে পাঠিয়েছি।’

বাগেরহাট সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপজেলা কর্মকর্তা আবুল মোকাররম মো. ফজলে এলাহী ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তার ইউনিয়নের বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ৯৭৭ জন কার্ডধারীর নায্য প্রাপ্য থেকে টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ ওঠায় সমাজসেবা তদন্ত করে। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। আমরা চারজন গ্রাম পুলিশের সদস্য ও দশজন কার্ডধারী ভাতাভোগীর লিখিত জবানবন্দি নিয়েছি। এ ছাড়া আরও ১৭ জন ভাতাভোগী সাক্ষ্য দিয়েছেন। আমরা তা এই মামলায় উল্লেখ করেছি।’

(ঢাকাটাইমস/২৬মার্চ/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :