শততম দিনে ট্রাম্প বনাম ওবামা
ক্ষমতা গ্রহণের শততম দিন উদযাপন করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শনিবার তার হোয়াইট হাউসে পদার্পণের ১০০ দিন পূর্ণ হলো। এ সময় তার সফলতা-ব্যর্থতার মূল্যায়ন করতে শুরু করেছেন বিশ্লেষকরা। মার্কিন মুলুকে স্বাভাবিকভাবেই তার কার্যকাল নিয়ে কাটাছেঁড়া শুরু হয়েছে কিছুটা আগে থেকে। কার্যকালের প্রথম ১০০ দিনের আলোচনায় ঘুরেফিরে আসছে তার পূর্বসূরি বারাক ওবামার নামও।
ট্রাম্পের ১০০ দিনের আলোচনায় অনেকগুলো প্রশ্ন ঘুরে-ফিরে এসেছে। প্রতিশ্রুতি রক্ষায় কতটা সফল বা ব্যর্থ হলেন ট্রাম্প? শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র কোন পথে? যুক্তরাষ্ট্রকে কি সত্যি মহান করে তুলতে পারবেন ট্রাম্প?
‘ওয়াশিংটন পোস্ট’ বা ‘নিউইয়র্ক টাইমস’-এর মতো দেশের প্রথম সারির মার্কিন সংবাদপত্র এবং ফক্স, সিএনএন অথবা এবিসির মতো নিউজ চ্যানেলগুলো ট্রাম্পের ১০০ দিনকে ভালো বলতেও কুণ্ঠা বোধ করছে। ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’ এক মাস আগেই ট্রাম্পের প্রথম ১০০ দিনের শাসনকে ‘ব্যর্থ’ অভিহিত করেছে। ‘দ্য নিউইয়র্ক টাইমস’ দেরিতে হলেও একে ‘ভীতিপ্রদ ১০০ দিন’ বলে উল্লেখ করতে ছাড়েনি। ব্রিটেনের সংবাদপত্র ‘দ্য ইনডিপেন্ডেন্ট’ এক ঐতিহাসিককে উদ্ধৃত করে বলেছে, অতীতে কোনো প্রেসিডেন্ট প্রথম ১০০ দিনে এতটা অসফল ছিলেন না।
ক্ষমতায় প্রথম ১০০ দিনের পর গণমাধ্যমে বারাক ওবামা যতটা প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন, ট্রাম্পের ভাগ্যে তার সিকি ভাগও জোটেনি। সমালোচকরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, প্রথম ১০০ দিনের মধ্যেই ওবামা যুক্তরাষ্ট্রের থমকে দাঁড়ানো অর্থনীতি চাঙা করতে এক ট্রিলিয়ন ডলারের প্যাকেজ পাস করিয়ে নিতে পেরেছিলেন মার্কিন কংগ্রেসে। অন্যদিকে অভিবাসন নিয়ে ট্রাম্পের সবচেয়ে আলোচিত পদক্ষেপটি কংগ্রেস পর্যন্ত পৌঁছানোর আগেই আদালতে ধাক্কা খেয়ে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
অবশ্য ট্রাম্প এসব বিতর্ককে পাত্তা না দিয়ে বলেন, ‘কোনো প্রশাসন এমন সাফল্য দিতে পারেনি। কর্মসংস্থান ফিরে আসছে। বেআইনি অভিবাসন কমছে। আইন এবং ন্যায়ের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমরা আমেরিকাকে সত্যিই মহান করে তুলছি।’
‘আমেরিকা প্রথম’ নীতি ছাড়া সন্ত্রাসবাদ দমনে ট্রাম্প প্রশাসনকে এগিয়ে রাখতে চায় মার্কিনরা। জনমত সমীক্ষাগুলোতে সেই বিষয়টি সামনে এসেছে। জলবায়ু পরিবর্তন বা স্বাস্থ্যপরিষেবা ক্ষেত্রে মানুষ যেখানে ট্রাম্পকে ‘এফ’ বা ‘ডি’ গ্রেড দিয়েছে, সেখানে সন্ত্রাস মোকাবিলায় ‘এ’ দিয়েছে। যদিও সামগ্রিক বিচারে প্রথম ১০০ দিনের কাজের মূল্যায়নে ‘বি’ নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে ট্রাম্পকে।
(ঢাকাটাইমস/২৯এপ্রিল/জেএস/মোআ)