এগিয়ে চলছেন এমপি একরাম

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৪ জুন ২০১৭, ১৭:৩০ | প্রকাশিত : ২৪ জুন ২০১৭, ১০:১২

একসময়ের বিএনপি অধ্যুষিত নোয়াখালী এখন আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে। নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী এমপির দৃঢ় নেতৃত্বে এটা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

আর একরামুল কবির বলছেন, দেশের সব জায়গা চেয়ে নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগকে বেশি শক্তিশালী করতে চান। আর সেটা সম্ভব করবেন নেতাকর্মীদের নিয়ে সম্মিলিত প্রচেষ্টায়।

দলীয় সাংগঠনিক কর্মতৎপরতার পাশাপাশি জনগণ ও এলাকার উন্নয়নেও সমান মনোযোগী সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরী। ফলে তিনি নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের কাছে্ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন দিন দিন।

২০০৪ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর জেলায় দলের সাংগঠনিক অবস্থান জোরালো করতে কাজ করেন তিনি। তার দৃঢ় নেতৃত্বে একসময়ের ‘বিএনপির দুর্গ’ এখন ‘আওয়ামী লীগের দুর্গ’ নামে পরিচিত হয়ে উঠেছে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে জেলার প্রায় ৯০ শতাংশ ইউপি-উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিজয়ী হয়েছে। এটা একরাম চৌধুরীর দৃঢ় নেতৃত্বেই সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন নেতাকর্মীরা।

একরাম চৌধুরীকে একজন দক্ষ সংগঠক হিসেবে বর্ণনা করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তার সাংগঠনিক দক্ষতার কারণে দীর্ঘ ২৪ বছর পর ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে নোয়াখালী-৪(সদর-সুবর্ণচর) আসনে বিজয়ী হয় আওয়ামী লীগ। এরপর বিগত দশম জাতীয় নির্বাচনেও তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

নেতাকর্মীরা বলেন, দলীয় প্রায় সব কর্মসূচিতে তিনি উপস্থিত থাকেন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপি-জামায়াতের তাণ্ডব মোকাবেলায় রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন ইকরাম। সন্ত্রাসবিরোধী কার্যকলাপে সহায়তা হিসেবে পুলিশের ব্যবহারের জন্য দুটি গাড়ি কিনে দেন নিজের টাকায়।

গত নির্বাচনের সময় বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় জ্বালিয়ে দিয়েছিল। পরে ইকরাম চৌধুরী নিজ উদ্যোগে প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যয়ে দৃষ্টিনন্দন তিনতলা ভবন নির্মাণ করেন। ২০১৫ সালের ১৫ অক্টোবর জেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে আবার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি উপজেলা পর্যায়েও দলকে চাঙা করতে থাকেন।

এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, একরাম চৌধুরী আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দলকে আরও সংগঠিত করার জন্য কাজ করছেন। ইতিমধ্যে সদর-সুবর্ণচরের প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে জনসভা করে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের চিত্র তুলে ধরেন তিনি। রমজানের সময় প্রতিটি ইউনিয়নে তার তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত হয় ইফতার মাহফিল। এ ছাড়া ঈদে নেতাকর্মীদের উপহার দেন ব্যক্তিগত তহবিল থেকে।

একরাম চৌধুরীর সাংগঠনিক দক্ষতা ও উন্নয়ন তৎপরতার প্রশংসা করেন নেতাকর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দারা।

নোয়াখালীর মাইজদীর বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, ‘এমপি সাহেব (একরাম চৌধুরী) জনগণবান্ধব, কর্মীবান্ধব। তিনি মানুষের সুখ-দুঃখে সব সময়ই পাশে থাকেন। তিনি একজন দক্ষ সংগঠক হিসেবে পরিচিত। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একরাম চৌধুরীর কোনো বিকল্প নেই।’

সুবর্ণচরের বাসিন্দা মোজাম্মেল হোসেন বলেন, ‘একজন এমপি যে জনগণের কত কাছে যেতে পারেন, তার বড় প্রমাণ একরাম চৌধুরী। তিনি প্রতিনিয়ত বিভিন্ন এলাকায় ছুটে চলছেন। এলাকার মানুষের সমস্যার কথা শুনছেন এবং তা সমাধান করার চেষ্টা করছেন।

আগামী নির্বাচনে একরাম চৌধুরী দলের মনোনয়ন পেলে এই আসনে বিজয় সহজ হবে বলে মনে করেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান শিহাব উদ্দিন শাহীন। তিনি ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘একরাম চৌধুরীর নেতৃত্বে নোয়াখালী আওয়ামী লীগ সংগঠিত হচ্ছে। সংগঠনকে আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত করতে কাজ করছেন তিনি। আগামী নির্বাচন দল তাকে মনোনয়ন দিলে আসনটি আমরা ধরে রাখতে পারব।’

আর নিজেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সন্তান বলে মনে করেন একরামুল করিম চৌধুরী। তিনি বিশ্বাস করেন, সবাই মিলে কাজ করলে সাফল্য অর্জন কোনো কঠিন নয়।

একরাম চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু-কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে এবং জনগণের নেতা ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে আমরা কাজ করছি। আমি আমার এলাকাকে টুঙ্গিপাড়ার চেয়েও শক্তিশালী করতে চাই। সম্মিলিত চেষ্টায় নিশ্চয়ই আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে পারব।’

(ঢাকাটাইমস/২৪জুন/টিএ/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :