গাবতলীতে উচ্ছেদ অভিযান, গৃহহীন পাঁচ শতাধিক পরিবার

রাজধানীর গাবতলী বেড়িবাঁধ সংলগ্ন অবৈধ দখল উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া উচ্ছেদ অভিযানের গৃহহীন হয়েছে পাঁচ শতাধিক পরিবার। ভেঙে ফেলা হয়েছে অবৈধ বাণিজ্যিক স্থাপনা।
গত বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে এই অভিযান। গাবতলী থেকে দ্বীপনগর পর্যন্ত গত তিন দিনে দখন মুক্ত করা হয়েছে। উচ্ছেদ করা হয়েছে সিমেন্ট কারখানা, ইটের গোডাউন, দোকান ও বসবাসের ঘর।
অভিযান পরিচালক ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী সাঈদ আনোয়ারুল ইসলাম ঢাকাটাইমসকে জানান, ‘বেড়িবাঁধ সংলগ্ন সকল অবৈধ স্থাপনা পর্যায়ক্রমে দখল মুক্ত করা হবে।’
উচ্ছেদ অভিযানে গৃহহীনদের অভিযোগ, আগে থেকে তাদেরকে উচ্ছেদের বিষয়ে জানানো হয়নি। এ কারণে আকস্মিক উচ্ছেদে খোলা আকাশের নিচে থাকতে হচ্ছে প্রায় পরিবারকে। অনেকেই ঘর ভাড়া নিয়েছেন আশপাশের এলাকায়। সুযোগ পেয়ে দ্বিগুণ ভাড়া হাকাচ্ছেন স্থানীয় বাড়ি মালিকরা।
দ্বীপনগরে বসবাসকারী জাব্বার মাস্টার বেড়িবাঁধ সংলগ্ন বৃক্ষরোপণ ও পাহারার দায়িত্বে আছেন। প্রায় ২০ বছর যাবৎ স্বপরিবারে এখানেই ছিল তার বসবাস। শনিবারের উচ্ছেদে তিনিও গৃহহীন হন।
জাব্বার মাস্টার ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘ডিসি অফিসে চাকরি করি। সরকারি গাছ পাহারা দেই, গাছ লাগাই। হঠাৎ কইরা ঘর ভাইঙা দিল। অহন বউ পোলাপান লইয়া কই যামু?’।
স্থানীয় সূত্র জানায়, স্থানীয় প্রভাবশালীরাই এখানে ঘর ও দোকান তুলে ভাড়া দিয়েছিল। ছিল অবৈধ বৈদ্যুতিক সংযোগ। রিপন ও জসিম নামের দুই স্থানীয় প্রভাবশালীর অনেকগুলো ঘর ও ২২টি দোকান ছিল।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, ৯ নয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল হোসেনের বড় ছেলে সাজুকে রিপন ও জসিম মাসিক হারে টাকা দিত। ক্ষমতাসীনরা আগে থেকে উচ্ছেদের কথা জানলেও জানতেন না, এখানে ঘর ভাড়া করে থাকা সাধারণ মানুষ। তাই তাদের ক্ষতি পরিমাণটাও বেশি।
ঢাকাটাইমস/১০জুলাই/কারই/ কেএস/ডব্লিউবি

মন্তব্য করুন