হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলায় মাহফুজের স্বীকারোক্তি
রাজধানীর গুলশানের অভিজাত হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা মামলায় গ্রেপ্তার আব্দুস সবুর খান (হাসান) ওরফে সোহেল মাহফুজ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
রবিবার ঢাকা মহানগর হাকিম আহসান হাবীবের কাছে স্বীকারোক্তি দেয়ার পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ুন কবির এই জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন।
এর আগে গত ৯ জুলাই এ আসামির সাত দিনের এবং গত ১৭ জুলাই ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এরও আগে গত ৭ জুলাই ভোর রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের চাওলা রোড পুস্কনীর পাড়ের ফজলুর আমবাগান (কানসাটের কাছাকাছি) এলাকা থেকে সোহেল মাহফুজকে গ্রেপ্তার করে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট (সিটিটিসি)।
কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের দাবি, গুলশানে জঙ্গি হামলা মামলার পরিকল্পনাকারীদের একজন সোহেল মাহফুজ। তিনি নব্য জেএমবির সূরা সদস্য। দীর্ঘদিন ধরে তিনি নব্য জেএমবির সদস্য সংগ্রহ ও মোটিভেট করে আসছিলেন। এই আসামি তামিম চৌধুরী, মারজান, বাসরুজ্জামান চকলেটসহ অন্যান্যদের সঙ্গে মিলে হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার সিদ্ধান্ত গ্রহণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। এছাড়া আর্টিজানে হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্র ও গ্রেনেড সরবরাহ করাসহ আনুষাঙ্গিক কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। তিনি জেএমবির উত্তরাঞ্চলীয় কমান্ডার এবং জেএমবির ভারত শাখার প্রধান। তিনি গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার গ্রেনেড সরবরাহ করেছিলেন। তিন বছর আগে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানের খাগড়াগড়ে বোমা বিস্ফোরণেরে তিনি সন্দেহভাজন সেখানে তার নাম ছিল নসরুল্লাহ।
সোহেল মাহফুজ কুষ্টিয়ার কুমারখালীর সাদিপুর কাবলিপাড়ার রেজাউল করিমের ছেলে। তিনি শাহাদাত, নসরুল্লাহ, রিমনসহ একাধিক নামে পরিচিত। এক হাত না থাকায় তিনি ‘হাতকাটা সোহেল’ নামেও পরিচিত।
২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গিরা হামলা চালিয়ে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে। এর আগে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশের ওপর গ্রেনেড হামলা চালায় জঙ্গিরা। গ্রেনেড হামলায় ডিবি পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন নিহত হন। যৌথ বাহিনী পরে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করে। অভিযানে ছয় জঙ্গির সবাই নিহত হন।
ঢাকাটাইমস/২৩জুলাই/আরজে/এমআর