সিটি নির্বাচন: সিলেটে বিএনপির চার জনের লড়াই

বোরহান উদ্দিন, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৪ জুলাই ২০১৭, ০৮:০১

সিলেট সিটি করপোরেশনের দুই বারের মেয়র আওয়ামী লীগ নেতা বদরউদ্দিন আহমেদ কামরানকে হারিয়ে চমক দেখিয়েছিলেন বিএনপি নেতা আরিফুল হক চৌধুরী। ফলে আগামী নির্বাচনেও তিনি দিলের মনোনয়ন পাওয়ার আশা করছেন। তবে দলের ভেতর তাকে ছাড় দিতে নারাজ আরও অন্তত তিন নেতা। ফলে মনোনয়ন নিয়ে বিএনপিতে চতুর্মুখি লড়াই হচ্ছে।

২০১৮ সালের শুরুতে সিলেটসহ ছয় সিটি করপোরেশনে নির্বাচন করতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে আগস্টের মধ্যে নির্বাচনের ব্যাপারে ইসির এমন ভাবনার পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট সিটিতে মেয়র পদে নির্বাচনে আগ্রহীরা মাঠ গোছাতে মেনে পড়েছেন।

বিএনপির একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সিলেট সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে আরিফুল হক ছাড়াও মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন, সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকী এবং মহানগর বিএনপির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম এবং মহানগর বিএনপির সহসভাপতি কাউন্সিলর রেজাউল হাসান কয়েস লোদী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান। তারা নানাভাবে জনসংযোগ করে নগরবাসীর কাছে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করছেন বলে জানা গেছে।

আগ্রহী এসব নেতার মধ্যে বিগত নির্বাচনে বিএনপির সমর্থন নিয়ে মেয়র প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন।

ঢাকাটাইমসকে নাসিম বলেন, ‘সিটি নির্বাচনের ব্যাপারে দল এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে দল নির্বাচনে গেলে আমি মনোনয়ন চাইব। গত নির্বাচনেও আমি মনোনয়ন চেয়েছিলাম, সেবার আরিফুল হক চৌধুরীকে দেওয়া হয়েছিল। এবার মহানগরের সভাপতি হিসেবে দলীয় কর্মী-সমর্থকেরা আমাকে প্রার্থী হিসেবে চাইছে।’ তবে দলীয় চেয়ারপারসনের সিদ্ধান্তই সব বলে জানান তিনি।

আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মেয়র আরিফুল হক এখন কোনো কথা বলতে রাজি হননি। ঢাকাটাইমসকে তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে মেয়র হিসেবে নগরবাসীর সেবা করে যাচ্ছি, এটাই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনের সময় আসুক, তখন দেখা যাবে। এর বাইরে আপাতত আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’

দায়িত্ব নেয়ার কিছুদিন পর থেকে গত চার বছরের বেশির ভাগ সময় কারাগারে থাকতে হয়েছে বিএনপির টিকিটে নির্বাচিত সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুর হককে। এ ছাড়া তাকে একাধিকবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ফলে সেভাবে মেয়রের দায়িত্ব পালন করতে পারেননি তিনি। তাই মেয়র আরিফুলের সফলতা-ব্যর্থতার হিসাব অমূলক ভাবছে বিএনপি।

দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন বর্জন করলেও স্থানীয় সব নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে বিএনপি। সামনের সিটি নির্বাচনেও দলটি অংশ নেবে বলে জানা গেছে। নির্বাচনের আমেজ পুরোদমে শুরু ‍না হলেও আগ্রহী প্রার্থীরা নানা মাধ্যমে নিজেদের আগ্রহের কথা জানান দিচ্ছেন।

সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে মনোনয়নের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হলেও বিএনপির বিভিন্ন সূত্র ও নেতারা বলছেন, দুই-একটি ছাড়া বেশির ভাগ সিটিতে আগের প্রার্থীদের মনোনয়ন দেয়ার একটা ভাবনা আছে দলে। এই তালিকায় আছেন সিলেট সিটি করপোরেশন বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

২০১৩ সালের ১৫ জুলাই নির্বাচনে প্রায় ৩৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে সাবেক মেয়র আওয়ামী লীগের বদর উদ্দিন আহমদ কামরানকে হারিয়ে জিতেন আরিফুল হক চৌধুরী।

নির্বাচনে জিতলেও সুস্থিরভাবে দায়িত্ব পালন করা হয়নি আরিফুল হকের। সিলেটে হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর মাজারে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের ওপর গ্রেনেড হামলা মামলা ও দিরাইয়ে সুরঞ্জিতের সমাবেশে বোমা মামলায় অভিযুক্ত করা হয় তাকে। আর এসব মামলার সূত্রে তাকে কারাগারে যেতে হয়, মেয়র পদ থেকে বরখাস্তও করা হয়। পরে আদালতের মাধ্যমে স্বপদে ফিরে আসেন তিনি।

ঢাকাটাইমস/২৪জুলাই/বিইউ/মোআ/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

হাসিনা-থাভিসিন দ্বিপাক্ষীক বৈঠক, থাইল্যান্ডের সঙ্গে ৫ দলিল স্বাক্ষর

কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা স্বেচ্ছাচারিতামূলক: টিআইবি

রোহিঙ্গা ইস্যুতে একসঙ্গে কাজ করবে ঢাকা-ব্যাংকক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

একযোগে আট বিভাগে সম্পন্ন হলো ৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা

৭৬ বছরের রেকর্ড ভাঙছে তাপপ্রবাহ

তাপপ্রবাহে রেলের কর্মীদের জন্য ৫ নির্দেশনা

মানবসম্পদ উন্নয়নে উচ্চ শিক্ষার বিকল্প নেই: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

তাপমাত্রার মতোই বেড়েছে সবজি ও মাছ-মাংসের দাম

১৬ জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহ, দুই জেলায় অতি তীব্র

বাংলাদেশে চিকিৎসা খাতে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :