প্রসূতির পেটে গজ-ব্যান্ডেজ: তদন্ত কমিটি গঠন

শেরপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৫ জুলাই ২০১৭, ২০:৩৮

শেরপুরে সিজারের পর রোগীর পেটে গজ-ব্যান্ডেজ রেখেই অপারেশন শেষ করেছেন জেলা হাসপাতালের গাইনি চিকিৎসক মায়া হোড়। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বিকালে জেলা হাসপাতালের আরএমওসহ তিন চিকিৎসককে দিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা করা হয়।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়, গত ৫ জুলাই সকাল ৯টার দিকে জেলার শ্রীবরদী উপজেলার টেংগরপাড়া গ্রামের মোস্তাক আহাম্মেদ বাবু নামে এক ব্যক্তি তার গর্ভবতী স্ত্রী ফারজানা ইয়াছমিন লাবনীকে শহরের নারায়ণপুর এলাকার জেনী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান। ওইদিন জেলা হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মায়া হোড় গর্ভবতী ওই নারীর সিজার করেন। এরপর থেকেই রোগীর জরায়ু দিয়ে রক্তপাত ও ব্যথা শুরু হয়। বাড়ি যাওয়ার পর অবস্থার পরিবর্তন না হলে ১৭ জুলাই আবার ডা. মায়া হোড়ের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় মায়া হোড় আল্ট্রাসোনোগ্রাম করে প্রসূতির পেটে গজ-ব্যান্ডেজের অস্তিত্ব পান। ফলে আবার অপারেশন করে গজ-ব্যান্ডেজ অপসারণ করার হয়। এরপর বাড়িতে গেলে শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটতে থাকে। ফলে ১৮ জুলাই তাকে শহরের উত্তরা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ব্যাপারে জেনী জেনারেল হাসপাতালের মালিক জায়েদুর রশিদ শ্যামল বলেন, আমরা ক্লিনিকের পক্ষ থেকে সিজারের জন্য চিকিৎসকের প্রয়োজন অনুযায়ী যা যা দরকার তার সবকিছুই দিয়েছি। কোন অবহেলা করা হয়নি। রোগীর পেটে কিছু ছিল কি ছিল না- তার দায় আমাদের নয়।

চিকিৎসক ডা. মায়া হোড় বলেন, রোগীর পেটে কোন গজ-ব্যান্ডেজ ছিল না। ঘটনাটি উদ্দেশ্যমূলক। আমাকে ফাঁসানোর জন্য এসব বলা হচ্ছে।

এ সম্পর্কে ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. সেলিম মিয়া লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনা তদন্তে আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তাসহ তিন কর্মকর্তাকে দিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রিপোর্ট পেলে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান তিনি।

(ঢাকাটাইমস/২৫জুলাই/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :