রাজশাহীতে রাসায়নিক পানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার রিশিকুল ইউনিয়নের ডাইংপাড়া চব্বিশনগর গ্রামে বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ পান করে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিনজনে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই গ্রামের দুলাল হোসেন নামে আরো একজনের মৃত্যু হয়।
এর আগে একই ঘটনায় বৃহস্পতিবার ভোরে একই গ্রামের বকুল হোসেন এবং তোহিজুল ইসলামের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে বর্তমানে আরও চারজন রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এরা হলেন, ডাইংপাড়া চব্বিশনগর গ্রামের টুলু, পারভেজ হোসেন, মোশারফ হোসেন ও জাভেদ হোসেন।
তারা হাসপাতালের ১৬ ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের অবস্থা এখনও আশঙ্কামুক্ত নয় বলে জানান চিকিৎসকরা।
গোদাগাড়ী থানার ভারাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিপজুর আলম মুন্সি জানান, চব্বিশনগর ডাইংপাড়া গ্রামের আটজন ব্যক্তি রাজশাহী মহানগরীর সপুরায় ‘টিম’ নামে একটি ওষুধের কারখানায় শ্রমিকের কাজ করেন। গত মঙ্গলবার তারা ওই কারখানায় কাজে গিয়ে সেখানে একটি ড্রামে থাকা একটি রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে রুটি খান।
এ সময় ভালো লাগায় একজন ওই পদার্থটি বোতলে ভরে গ্রামেও নিয়ে যান। এরপর রাতে তিনি গ্রামের আরও চার বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে কোমল পানীয়র সঙ্গে মিশিয়ে রাসায়নিকটি পান করেন। বুধবার রাত থেকে তারা একে একে সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে ভোরে তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু হাসপাতালে নেয়ার পর জরুরি বিভাগের চিকিৎসক দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন। একই ঘটনায় অসুস্থ অন্যদের চিকিৎসা চলছে। এদের মধ্যে দুপুরে আরেক জনের মৃত্যু হয়।
ওসি হিপজুর আলম মুন্সি বলেন, রাসায়নিক পদার্থটি তারা লালি গুড়ের মতো। গুড় ভেবেই তারা সেটি কারখানায় রুটির সঙ্গে মিশিয়ে খেয়েছিলেন। তবে গ্রামে নেয়ার পর তা আবার কোমল পানীয়ের সঙ্গে মিশিয়েও খাওয়া হয়। ওই রাসায়নিকটি আসলে কি তা তারা ওষুধের কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানার চেষ্টা করছেন।
এছাড়া মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে মৃত তিন ব্যক্তির মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হবে।
এ ব্যাপারে দুপুরে থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে বলেও জানান গোদাগাড়ী থানার এই পুলিশ কর্মকর্তা।
(ঢাকাটাইমস/১২অক্টোবর/প্রতিনিধি/এলএ)