পাকুন্দিয়ায় ১৪৪ ধারা ভেঙে মিছিলের চেষ্টা

পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ৩০ অক্টোবর ২০১৭, ২৩:৩৪

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে মিছিলের চেষ্টা করলে পুলিশের সাথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও টিয়ারশেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।

সোমবার বিকালে পৌর সদরের বরাটিয়া, চরফরাদী রোড ও সিনেমা হল সড়কে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রেনুর সমর্থিত লোকজন পৌরসদর বাজারে আসার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এসময় পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে আসার চেষ্টা করলে পুলিশ টিয়ারশেল ছুঁড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এসময় রেনু সমর্থিত লোকজনও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে পুলিশসহ উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়।

এর আগে ৩০ অক্টোবর পৌরসদর ঈদগাহ মাঠে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সভা আহ্বান করাকে কেন্দ্র করে জনগণের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে রবিবার রাত ১০টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত পৌরসদরের ঈদগাহ্ মাঠসহ আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারির আদেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ইউএনও অন্নপূর্ণা দেবনাথ।

সোমবার সকাল থেকে পৌরসদর বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের মধ্যে উৎকণ্ঠা বিরাজ করে। কয়েকবার গুজবে হুড়োহুড়ির ঘটনাও ঘটে।

সকাল থেকে পৌরসদর বাজারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিলেও দুপুরের পর থেকে মির্জাপুর সড়কের বরাটিয়া, চরফরাদী রোডের মোড় ও সিনেমা হল রোডে পুলিশি ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক ও উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেনু সমর্থিত লোকজন। এসময় পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল ছুঁড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

প্রসঙ্গত, ৩০ অক্টোবর সোমবার বিকাল ৩টায় পৌরসদর ঈদগাহ্ মাঠে উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. রফিকুল ইসলাম রেনুর পূর্বঘোষিত নির্বাচনী জনসভা হওয়ার কথা ছিল। সে মোতাবেক তিনি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও এলাকায় গণসংযোগ ও মিটিংও করেন। কিন্তু গত ২৮ অক্টোবর শনিবার বিকালে উপজেলা ও পৌর যুবলীগ এবং উপজেলা ছাত্রলীগ একই স্থানে একই সময়ে জরুরি সভা ঘোষণা করে মাইকিং করে। এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে উভয় শিবিরে। শনিবার বিকাল থেকে উভয় পক্ষের পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ মিছিলে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পাকুন্দিয়া। রবিবার সকালে উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রেনুর নেতৃত্বে জনসভাকে সফল করার লক্ষ্যে বিক্ষোভ মিছিল হয়। এর ঘণ্টা দুয়েক পরে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সভাকে সফল করার লক্ষ্যে পাল্টা একটি মিছিল বের হয়। এতে নেতৃত্ব দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মোতায়েম হোসেন স্বপন, নারান্দী ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফিক, পাকুন্দিয়া ডিগ্রি কলেজের সাবেক ভিপি আবদুল হাকিম, ফরিদ উদ্দিন, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক হেলাল উদ্দিন, যুগ্মআহ্বায়ক একরাম হোসেন টিপু, উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মোহাম্মদ এখলাছ উদ্দিন, পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক নাজমুল হক দেওয়ান ও যুগ্মআহ্বায়ক মো. রুবেল মিয়া প্রমুখ।

পরে একই দিন বিকালে যুবলীগ-ছাত্রলীগের পক্ষে আবারও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হলে এক পর্যায়ে উপজেলা চেয়ারম্যান সমর্থিত লোকজনের সাথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

এ প্রেক্ষিতে রবিবার রাত সোয়া নয়টার দিকে পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারির আদেশ করে স্থানীয় প্রশাসন।

(ঢাকাটাইমস/৩০অক্টোবর/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :