রংপুরে খাদেম রহমত হত্যা মামলার রায় ১৮ মার্চ

ব্যুরো প্রধান, রংপুর
 | প্রকাশিত : ০৪ মার্চ ২০১৮, ২১:৪৬

রংপুরে মাজারের খাদেম রহমত আলী হত্যা মামলার রায় আগামী ১৮ মার্চ নির্ধারণ করেছে আদালত। রংপুরের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক নরেশচন্দ্র সরকার রবিবার রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে এই তারিখ ঘোষণা করেন।

এ মামলায় অভিযুক্তরা সবাই জেএমবির সদস্য ও জাপানি নাগরিক হোসি কুনিও হত্যা মামলার রায়ে দণ্ডিত।

রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার মধুপুরের চৈতার মোড়ে মাজারের খাদেম রহমত আলীকে ২০১৫ সালের ১০ নভেম্বর রাতে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। গত ১৬ বছরের আগস্ট অভিযোগ গঠন করা হয়।

আদালত সূত্র জানিয়েছে, রংপুরের পীরগাছা উপজেলার পশুয়া টাঙ্গাইলপাড়ার জেএমবির আঞ্চলিক কমান্ডার মাসুদ রানা ওরফে মন্ত্রী, একই এলাকার জেএমবি সদস্য ইছাহাক আলী, লিটন মিয়া ওরফে রাহুল, আবু সাঈদ, গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার হলদিয়ার চরের সাখাওয়াত হোসেন ওরফে রাহুল, বোনারপাড়া ইউনিয়নের পূর্ব ভূতমারার জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজিব ওরফে গান্ধি ও বাবুল আখতার ওরফে বাবুল মাস্টার, দিনাজপুরের বিরামপুরের সরোয়ার হোসেন সাবু ওরফে মিজান, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের সাদাত ওরফে রতন মিয়া ও তৌফিকুল ইসলাম সবুজ, বিজয় ওরফে আলী ওরফে দর্জি এই মামলার আসামি। তারা জাপানি নাগরিক হোসি কুনিও হত্যা মামলারও আসামি। তাদের মধ্যে মাসুদ রানা ওরফে মামুন ওরফে মন্ত্রী, ইছাহাক আলী, লিটন মিয়া ওরফে রফিক এবং সাখাওয়াত হোসেন ওরফে রাহুলকে রংপুরে জাপানি নাগরিক কুনিও হোশি হত্যা মামলায় গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।

আসামিরা সবাই কারাগারে আটক রয়েছেন। তাদের উপস্থিতিতেই রবিবার আদালতে দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ হয়।

অপর দুই আসামি বগুড়ার শাজাহানপুরের রাজিবুল ইসলাম মোল্লা ওরফে বাদল ওরফে বাঁধন ও রংপুরের পীরগাছার চাঁন্দু মিয়া এখনও পলাতক রয়েছেন।

মামলা চলাকালীন দুই আসামির মৃত্যু হওয়ায় তাদের বাদ দিয়ে গত বছরের ১৬ আগস্ট রংপুরের বিশেষ জজ নরেশ চন্দ্র সরকার জেএমবির ১৩ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন। ৫২ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৬ জনের সাক্ষ্য নেয়ার মধ্যদিয়ে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। এক সাক্ষীর মৃত্যু ও চার সাক্ষী ভারতে পালিয়ে যাওয়ায় আদালত সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করে।

সরকার পক্ষের কৌসুলী অ্যাডভোকেট রথিশ চন্দ্র ভৌমিক বাবু সোনা বলেন, আমরা আদালতে সকল সাক্ষ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করেছি। প্রমাণিত হয়েছে জেএমবির সদস্যরাই রহমত আলীকে হত্যা করেছে। আমরা সর্বোচ্চ শাস্তি হবে বলে আমরা আশা করছি।

তবে আসামি পক্ষের আইনজীবী আবুল হোসেন বলেন, সরকার পক্ষ্য সাক্ষ্য প্রমাণ উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। আসামিরা খালাস পাবেন।

(ঢাকাটাইমস/০৪মার্চ/প্রতিনিধি/ওআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :