গাইবান্ধা-১ আসনের উপ-নির্বাচনে ভোট কাল

গাইবান্ধা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১২ মার্চ ২০১৮, ২০:১৯

গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সংসদ উপ-নির্বাচনে ভোট মঙ্গলবার। রবিবার রাত ১২টার পর থেকে প্রচারণা বন্ধ হয়ে গেছে।

শেষ মুহূর্তে প্রচার-প্রচারণা হিসেবে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পাটির প্রার্থীর মধ্যেই লড়াইটা হবে। রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, সমর্থক ও সাধারণ ভোটাররাও তাই জানান।

এদিকে সাধারণ ভোটারদের মাঝে ভোট নিয়ে বিরাজ করছে নানা শঙ্কা। সাধারণ ভোটারদের অনেকের মত, ভোট সুষ্ঠু হবে কিনা, আবার অনেকে বলছেন- বারবার ভোট দিয়ে কি হবে। একটি মহল দাবি করছেন, প্রার্থী বিজয়ের ক্ষেত্রে জামায়াতের ভোট ব্যাংক একটি ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াবে।

হরিপুর চরের ভোটার আজিজার রহমান বলেন, বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে কেউ বলছেন, তারা একটি ভোট পেলে এমপি হবে। আবার কেউ বলছেন, লাঠিসোডা নিয়ে ভোট কেন্দ্র পাহারা দিতে হবে। ভোট যেন কেউ ছিনিয়ে নিতে না পারে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ইরি-বোরো ধানের জমিতে কৃষকরা কাজে ব্যস্ত। ফলে ভোটারের উপস্থিতি একেবারে কম হতে পারে।

সাধারণ ভোটারদের এসব মন্তব্যকে সামনে রেখে লাঙ্গল মার্কার প্রার্থী ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ভোটাররা এখন অনেকটা সজাগ হয়েছে। পাশাপাশি নেতাকর্মীরা অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে তারা মাঠে কাজ করছে। ভোট সুষ্ঠু হওয়ার ব্যাপারে তিনি অনেকটা আশাবাদী। শামীম হায়দার তার বিজয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।

নৌকা মার্কার প্রার্থী আফরুজা বারীর পক্ষে তার প্রতিনিধি মাহবুব সরকার বলেন, ভোট সুষ্ঠু হওয়ার ব্যাপারে এখন পযন্ত তারা আশাবাদী। তিনি বলেন, ভোটারদের মাঝে নৌকার জোয়ার উঠছে। সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় নৌকা অবশ্যই জয়লাভ করবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম গোলাম কিবরিয়া জানান, ভোট শতভাগ সুষ্ঠু হবে এত কোন সন্দেহ নেই। ভোট সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য পর্যাপ্ত আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োজিত থাকবে।

রিটানিং অফিসার ও রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা জিএম সাহাতাব উদ্দিন ঢাকাটাইমসকে জানান, ভোটারদের মাঝে এসব কল্পনা মাত্র। ভোট অত্যন্ত সুষ্ঠু হবে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে নির্বাচনের যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে।

নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনের কাজে নিয়োগ দেয়া হয়েছে ২ হাজার ৫০ জন কর্মকতা। ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার মোট ১০৯টি ভোট কেন্দ্রের ৬৪৭টি বুথের বিপরীতে ১০৯ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ৬৪৭ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং ১ হাজার ২৯৪ জন পোলিং অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। এ উপজেলায় মোট ভোটারের সংখ্যা ৩ লাখ ৩৮ হাজার ৫৫৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৬৪ হাজার ৯৩৪ জন এবং মহিলা ১ লাখ ৭৩ হাজার ৬২২ জন।

২০১৭ সালের ১৯ ডিসেম্বর সাংসদ গোলাম মোস্তফা আহমেদ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। যার কারণে আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/১২মার্চ/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :