আইসিইউতে সংক্রমণে মৃত্যুহার ৪০ শতাংশের বেশি
দেশের হাসপাতালগুলোর ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) সংক্রমণজনিত মৃত্যুহার ৪০ শতাংশের ঊর্ধ্বে। তবে উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ ও এর যথার্থ বাস্তবায়ন সম্ভব হলে এ মৃত্যুহার পাঁচ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব।
রবিবার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিলন হলে জীবাণু সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক এক সেমিনারে বক্তারা এ কথা বলেন।
বিএসএমএমইউ’র অ্যানেসথেসিয়া, অ্যানালজেসিয়া এন্ড ইনটেনসিভ কেয়ার মেডিসিন বিভাগ ও মাইক্রোবায়োলজি এন্ড ইমিউনোলজি বিভাগ এর আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়–য়া বলেন, স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ ও যথাযথ প্রটোকল মেনে চলার মতো বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে পারলে সংক্রমণজনিত মৃত্যুহার কমিয়ে আনা সম্ভব।
সূচনা বক্তব্যে আইসিইউ বিভাগের অধ্যাপক ডা. এ কে কামরুল হুদা বলেন, রোগীর দেহে রোগ-জীবাণু সংক্রমণ প্রাথমিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে রোগীর মৃত্যুঝুঁকি ৩০ শতাংশ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। প্রকৃতপক্ষে, আইসিইউতে ভর্তিকৃত রোগীর দেহে জীবাণু সংক্রমিত হলে রোগীকে বাঁচানো কঠিন হয়ে পড়ে। তবে রোগীর দেহে জীবাণু সংক্রমণ অনেকাংশেই প্রতিরোধ করা সম্ভব, উন্নত দেশগুলো এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ। রোগ জীবাণু সংক্রমণ প্রতিরোধে রোগীকে স্পর্শ করার আগে জীবাণুমুক্তকরণ উপাদান দিয়ে হাতধোয়া শতভাগ নিশ্চিত করা, বর্জ্য অপসারণ ও নিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নত করাসহ হাত ধোয়ার স্থান উন্নত করা জরুরি। এছাড়া বায়ু বিশুদ্ধকরণ প্রক্রিয়াসহ বাইরের বাতাস ভেতরে প্রবেশ করতে না দেয়া এমন আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসমৃদ্ধ অবকাঠামো নিয়ে আইসিইউ নির্মাণ করা অপরিহার্য।
সেমিনারে সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. রুহুল আমিন মিয়া, অ্যানেসথেসিয়া, অ্যানালজেসিয়া এন্ড ইনটেনসিভ কেয়ার মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ কে এম আকতারুজ্জামান, মাইক্রোবায়োলজি এন্ড ইমিউনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আহমেদ আবু সালেহ, জাপানের ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ হেলথ এন্ড ওয়েলফেয়ারের (আইইউএইচডব্লিউ) ইনফেকশস ডিজেজেস বিভাগের প্রধান অধ্যাপক টেতসুয়া মাতসুমোটো, সংক্রামক রোগ বিষয়ক বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ইয়াসুউকি কাটো, আইইউএইচডব্লিউয়ের সহকারী অধ্যাপক কে এম আনোয়ারুল হক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
ঢাকাটাইমস/৩০সেপ্টেম্বর/এএ/ইএস